হননের গৌরনদীতে হামলা গাড়িবহরে

এমএম নাজমুল হাসান
এমএম নাজমুল হাসান এমএম নাজমুল হাসান , লেখক ও সাংবাদিক
প্রকাশিত: ১০:১৩ এএম, ০২ এপ্রিল ২০২৩

শেখ হাসিনা আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। এই অর্জন একদিনে হয়নি। এজন্য তাঁকে করতে হয়েছে দীর্ঘ সংগ্রাম। কণ্টকময় পথে তাঁকে মোকাবিলা করতে হয়েছে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের।

বৈরী পরিবেশে প্রায় চার দশকের বেশি সময় ধরে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে ও গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার জন্য লড়াই করেছেন শেখ হাসিনা। আদর্শ ও লক্ষ্যে অবিচল তিনি। এসব কারণে সবসময় স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীর টার্গেট হন বঙ্গবন্ধু তনয়া। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এ পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ বার বোমা বিস্ফোরণ, গ্রেনেড হামলা ও গুলি চালানো হয়েছে।

তেমনি ইতিহাস নিন্দিত একটি দিন, ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল। তখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় জামায়াত-বিএনপি জোট, যেখানে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ক্ষমতার অংশ। তৎকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরে সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চলতে থাকে। এরই প্রতিবাদে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে পাঁচদিনের সফরে গাড়িযোগে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।

শেখ হাসিনার গাড়িবহর গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র হামলা চালায় জামায়াত ও বিএনপির ক্যাডাররা। যদিও গৌরনদীতে শেখ হাসিনার পূর্বনির্ধারিত কোনো পথসভা কিংবা জনসভা ছিল না। শুধু দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে রাস্তার পাশে অপেক্ষা করছিলেন। এসময় তৎকালীন বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য জহিরউদ্দীন স্বপন ও জামায়াতের ক্যাডাররা কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে এক হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তাড়িয়ে দেয়। এমনকি শুভেচ্ছা জানাতে নিয়ে আসা ফুলের তোড়া পর্যন্ত ছিনিয়ে নেয়।

ওই সময়কার জাতীয় দৈনিকসমূহের বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসন্ধানে দেখা যায়, গৌরনদীতে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো হামলার নেপথ্যে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সরকার এবং তার সংস্থাসমূহ জড়িত ছিল। পরদিন অর্থাৎ ২০০৪ সালের ৩ এপ্রিল এ খবর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদনটি প্রথম পাতায় তিন কলামে এবং দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় ডাবল কলাম শিরোনামে প্রকাশিত হয়। শিরোনাম ছিল: ‘গৌরনদীতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা, দফায় দফায় তেড়ে এসে হুমকি-ধামকি, গালিগালাজ’। বরিশালের গৌরনদীতে গতকাল শুক্রবার দুপুরে এক দল উচ্ছৃঙ্খল যুবক শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা করেছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে পাঁচদিনের সফরে ঢাকা থেকে বরিশালে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহর গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে এসে পৌঁছলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা শেখ হাসিনার দিকে কয়েক দফা তেড়ে যায় ও তার গাড়িবহরের ওপর ইটপাটকেল ছুড়ে মারে।

এ ঘটনার পর বরিশাল সার্কিট হাউজে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হামলাকারীদের স্থানীয় যুবদল ও ছাত্রদল কর্মী এবং বিএনপির স্থানীয় সংসদ সদস্যের ক্যাডার বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ইটের আঘাতে ও ধাক্কায় তিনি নিজে, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী ডা. আওলাদ হোসেনসহ কয়েকজন আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গৌরনদীতে শেখ হাসিনার কোনো নির্ধারিত পথসভা না থাকলেও স্থানীয় পৌরসভা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম সারোয়ার ফারুকের নেতৃত্বে দলীয় কিছু নেতাকর্মী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন। এক পর্যায়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের এক দল ক্যাডার সেখানে এসে তাদের নানা রকম হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। তারা নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ফুলের তোড়া ছিনিয়ে নেয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ বিএনপি ক্যাডারদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তাড়া করে।

তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টায় সরকার ও সরকারদলীয় ক্যাডারদের সংশ্লিষ্টতা প্রতিফলিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। সেসময় শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো হামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মী আহত হন। এমনকি তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো হামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপপ্রয়াস লক্ষ্য করা যায়।

শেখ হাসিনার ওপর হামলার পরদিন ২০০৪ সালের ৩ এপ্রিল দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করলে হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। এই প্রতিবেদন তৎকালীন গৌরনদী বিএনপির সংসদ সদস্যের অনুগামী স্থানীয় যুবদল সভাপতির নেতৃত্বে অংশগ্রহণ সামনে আসে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার ওপর হামলার পর অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়টি। এমনকি কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর শারীরিক আক্রমণ করা হয়। প্রায় এক মাসের ব্যবধানে শেখ হাসিনার ওপর দুবার ঘটে যাওয়া আক্রমণকে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ঘটে যাওয়া হিসেবে গণমাধ্যমে স্থান পায়। প্রথম পৃষ্ঠায় তিন কলাম শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। শিরোনাম ছিল: ‘গৌরনদীতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে সরকার দলের ক্যাডারদের হামলা’। প্রতিবেদনের মাঝে ছিল বিরোধীদলীয় নেত্রীর মন্তব্য– ‘উপর মহলের নির্দেশে হামলা হয়েছে- শেখ হাসিনা’।

এতে লেখা হয়: আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে আবারও হামলা হয়েছে। পাঁচদিনের সফরে দক্ষিণাঞ্চলে যাওয়ার পথে শুক্রবার দুপুরে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের কাছে সরকারদলীয় ক্যাডাররা এই হামলা চালায়। এতে দলের যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ ১০-১২ জন আহত হয়েছেন।

হামলার পাশাপাশি শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে নির্মিত তোরণ এবং বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুরকালে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ প্রশাসনের সামনে সরকারদলীয় ক্যাডারদের এ তাণ্ডব চলাকালে শেখ হাসিনার গাড়িবহর প্রায় ১৫ মিনিট অবরুদ্ধ থাকার পর আবারও যাত্রা শুরু করে। শেখ হাসিনা পাঁচ সপ্তাহের ব্যবধানে তাঁর গাড়িবহরে দ্বিতীয় দফা এই হামলার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দায়ী করেছেন।

বিকালে পটুয়াখালী পিডিএস মাঠে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অর্থমন্ত্রী দেশের বাজেট ঘাটতি কমাতে প্রত্যেক সংসারে ঘাটতি তৈরি করেছেন। নুন আনতে পান্তা ফুরানো এ দেশের মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের রক্ত শোষণ করছে সরকার। যে সরকারের প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাবাদী, হীনম্মন্যতার কারণে মিথ্যা জন্মদিন পালন করে, সে সরকার চাই না। জোট সরকার দ্বৈতশাসন কায়েম করে আন্ডারগ্রাউন্ড গডমাদার ও গডসানকে নিয়ে সারাদেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। লাশ টুকরা করার সেঞ্চুরি উৎসব পালন করছে।

সংবাদপত্রগুলো শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো হামলাকে সরকারের প্রত্যক্ষ মদতে ঘটেছে এমন অভিমত প্রকাশ করতে থাকে। সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়তে এর প্রতিফলন ঘটে। ২০০৪ সালের ৪ এপ্রিল দৈনিক প্রথম আলো এক সম্পাদকীয়তে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ওপর হামলায় সরকারের সম্পৃক্ততার বিষয় তুলে ধরে।

সেখানে স্পষ্টত অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে সরকারের জ্ঞাতসারে এ হামলা চালানো হয়েছে। এমনকি সরকারি সংস্থাসমূহের কর্মীরা এ হামলায় অংশ নেয়। এতে স্থানীয় বিএনপির সংসদ সদস্যের দায় এড়ানোর চেষ্টাকে তুলে ধরা হয়েছে। এই সম্পাদকীয়ের শিরোনাম ছিল: ‘শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা’- সরকারি দল এ থেকে কি ফায়দা পাবে?

এতে লেখা হয়: বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে বা তাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে সরকারি দল কী ফায়দা পেলো তা বোঝা আমাদের সাধ্যের বাইরে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এই নোংরা সংস্কৃতির চর্চা আমাদের দেখতেই হচ্ছে। সরকার বা সরকারি দলের লোকজন যদি এ ধরনের কাজ করবেনই তখন ঘোষণা দিয়ে দিলেই তো হয় যে, গাড়িবহর নিয়ে বিরোধীদলীয় নেত্রী কোথাও যেতে পারবেন না। সেটা না করে এসব করা হচ্ছে কেন?

বরিশালের গৌরনদীতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের পেছনে যে সরকারি দলের সমর্থন রয়েছে বা তাদের অজ্ঞাতসারে যে ঘটনাটি ঘটেনি সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। সরকার বা সরকারি দলের সমর্থন না থাকলে এ ঘটনা কোনোভাবেই ঘটতো না বা ঘটনা ঘটিয়ে দুর্বৃত্তরা পার পেয়ে যেত না।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী গৌরনদীতে বিরোধীদলীয় নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে জড়ো হওয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হুমকি-ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে বিএনপির ক্যাডাররা। আর এই কর্মকাণ্ডে তাদের সহযোগী ছিল নাকি উপস্থিত পুলিশ বাহিনীর লোকজনও। এরপর ঘটনাস্থলে শেখ হাসিনার গাড়িবহর উপস্থিত হলে আবার আবার গাড়িবহরের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে, বিরোধীদলীয় নেত্রীকে গালিগালাজও করা হয়। পুলিশ এই কাজে সহায়তা না করলে হামলাকারীদের ধরা গেলো না কেন?

‘গৌরনদীতে বিরোধীদলীয় নেত্রীর গাড়িবহরে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি, ঘটার প্রশ্নই ওঠে না’ -এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা জহিরউদ্দীন স্বপন তার দায়িত্ব সেরেছেন। বিষয়টি কি আসলেই তাই? তবে কি পত্র-পত্রিকাগুলো যা লিখেছে আর প্রত্যক্ষদর্শীরা যা বলেছে তার সবই মিথ্যা?

এ ধরনের কর্মকাণ্ড সরকার বা সরকারি দলের জন্য যে কখনোই সুফল বয়ে আনে না তা বিএনপির ভালোই জানা উচিত। আমরা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই।

সেসময় শেখ হাসিনার ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে গৌরনদী থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি বরং আওয়ামী লীগের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের নামে মামলা দায়ের করা হয়।

পরে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে ২০০৯ সালের ২০ জুলাই গৌরনদী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ৪০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে ২০১৩ সালের ১৯ মে মো. জহির উদ্দিন স্বপনসহ ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। এতে ২৫ সাক্ষীর মধ্যে ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে ২০১৮ সালে অভিযুক্তদের খালাস দিলে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল দায়ের করে।

কতটা পরশ্রীকাতরতা অনুভব করলে একটা মানুষকে হত্যার জন্য এতবার হামলা চালানো যায়। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো রাষ্ট্রনায়ককে হত্যার উদ্দেশ্যে এতসংখ্যক বার হামলা চালানোর নজির নেই। এখনও একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা সক্রিয়। তাদের চক্রান্ত রুখে দিতে না পারলে বাংলাদেশ আবার পর্যুদস্ত হয়ে যাবে।

সোনার বাংলা বিনির্মাণে যে অগ্রযাত্রা ধাবমান তা স্থবির হয়ে যাবে। তাই জাতীয় স্বার্থে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সব চক্রান্ত ধূলিসাৎ করতে আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি। নতুবা বাংলার আকাশের উজ্জ্বলতা যেকোনো সময় মলিন হয়ে যেতে পারে। এমন দিন ইতিহাসে আর যেন না আসে এবং হামলাকারীদের শাস্তি হোক সেই প্রত্যশা আজকের দিনে।

লেখক: প্রতিবেদক, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)।

এইচআর/ফারুক/এমএস

কতটা পরশ্রীকাতরতা অনুভব করলে একটা মানুষকে হত্যার জন্য এতবার হামলা চালানো যায়। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো রাষ্ট্রনায়ককে হত্যার উদ্দেশ্যে এতসংখ্যক বার হামলা চালানোর নজির নেই। এখনও একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা সক্রিয়। তাদের চক্রান্ত রুখে দিতে না পারলে বাংলাদেশ আবার পর্যুদস্ত হয়ে যাবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।