আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার

ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর

নিরঞ্জন রায়
নিরঞ্জন রায় নিরঞ্জন রায় , সার্টিফায়েড অ্যান্টি-মানিলন্ডারিং স্পেশালিষ্ট ও ব্যাংকার, টরনটো, কানাডা
প্রকাশিত: ০৩:৪৫ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন জমে উঠেছে এবং এই নির্বাচন কেন্দ্র করে জমজমাট হয়ে উঠেছে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। সেই সঙ্গে বিভিন্ন দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করতে শুরু করেছে। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং আমাদের মহান স্বাধীনতা আন্দোলনের সফল নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যার সফল নেতৃত্বে আছেন বঙ্গবন্ধুরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেই দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহার-২০২৪ সম্প্রতি প্রকাশ করেছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বরাবরই গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিকে প্রাধান্য দিয়ে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তৈরি করা হয়। অতীতের ইশতেহারগুলোর সঙ্গে যথেষ্ট সামঞ্জস্য এবং ধারাবাহিকতাও রক্ষা করা হয়।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নির্বাচনী ইশতেহারে সবসময়ই একটা নতুনত্ব থাকে। অতীতের দুটো নির্বাচনী ইশতেহারের নতুনত্ব ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার এবং তারই ধারাবাহিকতায় এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে অঙ্গীকার করা হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের।

স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের অঙ্গীকার নির্বাচনী ইশতেহার-২০২৪ এর অন্তর্ভুক্ত করা হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার আগে থেকেই এই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের কাজ সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে একে পরিপূর্ণ রূপ দেওয়ার লক্ষে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার কর্মসূচি হাতে নেওয়ার কারণে কিছু মানুষ, বিশেষ করে একটি মহল এবং একশ্রেণির মিডিয়া ও আলোচক বিষয় দুটোকে এক করে দেখে নানারকম বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।

মূলত গত বছরের শেষ দিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই বিষয়টি আলোচনায় চলে আসে। সেই থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বিষয় নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে। এই আলোচনায় নতুন মাত্রা পায় আওয়ামী লীগের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্য নির্ধারণ করায়। এ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই একটি বিষয় সামনে চলে এসেছে এবং তা হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ কি পৃথক দুটো কর্মপরিকল্পনা, নাকি একই কর্মপরিকল্পনার দুটো ভিন্ন নাম।

আজ থেকে দেড় যুগ আগে গৃহীত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের দেড় যুগ অতিবাহিত হতে না হতেই আরেক দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়ার কারণেই এসব প্রশ্ন এবং আলোচনা শুরু হয়েছে। সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তন এবং উৎকর্ষতার বিষয়টি যদি বিবেচনায় নেওয়া হয় তাহলে এটা আর কারও বুঝতে বাকি থাকে না যে ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ কোনো অবস্থায়ই এক বিষয় হতে পারে না, বরং সম্পূর্ণ পৃথক দুটো দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা, যার উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ দুটো পৃথক কর্মপরিকল্পনা হলেও, এ দুটোর মধ্যে সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্য এতটাই বেশি যে এই দুটো ধারণাকে যেমন এক করে দেখাও সম্ভব নয়, আবার দুটো বিষয়কে সম্পূর্ণ পৃথক করে দেখাও কষ্টকর। এর মূল কারণ ডিজিটাল এবং স্মার্ট বাংলাদেশ দুটোই সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর একটি ব্যবস্থা যেখানে মানুষের জীবনযাত্রার সবকিছুই পরিচালিত হবে প্রযুক্তির মাধ্যমে। অনেক কার্যক্রম এবং সুযোগ-সুবিধা ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশে প্রযুক্তির মাধ্যমেই পাওয়া যাবে। যেমন প্রযুক্তিনির্ভর জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডির প্রচলন এখন যেমন আছে, আগামীতে যখন স্মার্ট বাংলাদেশ হবে তখনো তেমনি থাকবে।

এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে যদি অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যায় তাহলে আগামীতে যখন স্মার্ট বাংলাদেশ হবে তখনো অনলাইনেই আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। এখনকার ডিজিটাল বাংলাদেশে যদি পাসপোর্ট নবায়নের কাজ অনলাইনে সম্পন্ন করা যায় তাহলে আগামীতে যখন স্মার্ট বাংলাদেশ হবে তখনো এই কাজটি অনলাইনেই সম্পন্ন হবে। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে দুটো পৃথক নাম দেওয়ার কারণ কি হতে পারে বা ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ নামের দুটো স্বতন্ত্র কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়ার কি প্রয়োজন থাকতে পারে।

আসলে বিষয়টি সম্পূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির। নাম যাই দেওয়া হোক না কেন অথবা একক বা পৃথক কর্মপরিকল্পনাই নেওয়া হোক না কেন তাতে দেশ যদি সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে যায় তাহলে তো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কারও কোনো নাম বা কর্মপরিকল্পনার ধরন নিয়ে কোনোরকম কিন্তু বা প্রশ্ন থাকার কথা নয়। কেননা নামে কিছুই যায় আসে না। ঢাকার মেট্রোরেল জ্বালানি তেলে চালিত হয়, নাকি ব্যাটারি দ্বারা চালিত হয়, নাকি বিদ্যুৎচালিত সেটা জনগণের কাছে বড় বিষয় নয়, তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মেট্রোরেল আধুনিক দ্রুত এবং নিরাপদ নগর যোগাযোগ নিশ্চিত করে কি না। এখান থেকেই একটি বিষয় পরিষ্কার যে সাধারণ মানুষের জানার প্রয়োজন নেই যে মেট্রোরেল কীভাবে পরিচালিত হবে। তাদের কাছে এর আধুনিক সেবাটাই সবচেয়ে বড় বিবেচ্য বিষয়। কিন্তু যারা মেট্রোরেল নির্মাণ, ব্যবস্থাপনা এবং পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এবং আছেন, তাদের কাছে কিন্তু এর সেবার চেয়ে এর সফল নির্মাণ এবং নিরাপদ পরিচালনার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তারা বেশ ভালো করেই জানে যে মেট্রোরেলের যদি সফল বাস্তবায়ন এবং নিরাপদ পরিচালনা নিশ্চিত করা যায়, তাহলে মানসম্পন্ন সেবা এমনিতেই নিশ্চিত হবে। এ কারণেই মেট্রোরেলকে সাধারণ মানুষ দেখবে এক দৃষ্টিকোণ থেকে এবং তাদের কাছে সেটি আধুনিক নগর যোগাযোগ ব্যাবস্থা। কিন্তু মেট্রোরেলের নির্মাণ এবং পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা দেখবেন আরেক দৃষ্টিকোণ থেকে। তাদের কাছে এটি একটি আধুনিক প্রযুক্তির নিদর্শন। এ কারণেই ঢাকার মেট্রোরেল প্রকল্পের দুটো পৃথক নামকরণ হলেও হতে পারে।

নামকরণ বা পৃথক কর্মপরিকল্পনা যাই হোক না কেন, তাতে বাস্তবে যতটুকু মতপার্থক্য বা সংশয় দেখা না দেয়, তার চেয়ে বেশি দেখা দেয় বিষয়গুলোকে কীভাবে বিচার বিশ্লেষণ করা হয় তার ওপর। যখন বিষয়গুলো নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে আলোচনা করা হয় তখনই এই সংশয় বা মতপার্থক্য দেখা দেয়। সমস্যাটা জটিল হয় যখন সংশ্লিষ্ট পেশার লোকজনও একই সুরে কথা বলেন। ঠিক সেরকমটাই হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে। অনেকে বলার চেষ্টা করে থাকেন যে ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশের মধ্যে মূলত কোনো পার্থক্য নেই। তাদের মতে একই শরবত বিভিন্ন আকার ও রঙের বোতলে রাখার মতো অবস্থা। তাদের দৃষ্টিতে যা ডিজিটাল বাংলাদেশ, তাই স্মার্ট বাংলাদেশ।

আবার যারা সরকারের সমালোচনা করেন তারা আরও একটু বাড়িয়ে বলার চেষ্টা করেন যে একই বিষয়ের স্মার্ট নাম দিয়ে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। অনেকে এও বলার চেষ্টা করেন যে আসলে দেশকে প্রযুক্তিনির্ভর করার জন্য কোনো প্রকার নামকরণেরই প্রয়োজন নেই। আবার অনেকে এটাও বলে থাকেন যে স্মার্ট বাংলাদেশ নাম না দিয়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ-দুই’ বা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্তর বা ফেজ-টু’ নামও দেওয়া যেত।

বিষয়টি মোটেই এত সহজ সমীকরণ নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ দুটো সম্পূর্ণ পৃথক দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা, যা একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত হলেও দুটোর লক্ষ্য, বাস্তবায়নের ধরন এবং ফলাফল একেবারেই ভিন্ন প্রকৃতির। বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রথম পর্যায়ের কর্মপরিকল্পনা হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। পক্ষান্তরে ডিজিটাল বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে একে পূর্ণতা দেওয়ার কর্মপরিকল্পনাই হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ।

ডিজিটাল বাংলাদেশ যদি হয় প্রাথমিক পদক্ষেপ, সেখানে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে দ্বিতীয় পদক্ষেপ। যে দেশে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়িত হয়নি, তারা চাইলেও স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগোতে পারবে না। আবার ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়েই যদি সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করা হয়, তাহলে দেশের প্রযুক্তি খাতের অগ্রযাত্রা একটা পর্যায়ে যেয়ে থেমে যাবে, ফলে দেশ প্রযুক্তি ব্যবহারে উন্নত দেশ তো বটেই, অনেক উন্নয়নশীল দেশে থেকেও পিছিয়ে থাকবে। আর এই কারণে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিও থমকে যাবে একটা পর্যায়ে যেয়ে এবং এমনকি অর্জিত উন্নতি টেকসইও হবে না।

আবার একথাও ঠিক যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাদ দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গেলে এক ধরনের লেজেগোবরে অবস্থার সৃষ্টি হবে, ফলে দেশ না হবে ডিজিটাল, না হবে স্মার্ট। বিষয়টি এরকম যে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক বাংলাদেশ যদি হয় একটি বহুতল অট্টালিকা, সেখানে ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে সেই অট্টালিকার ভিত্তি বা ফাউন্ডেশন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সেই অট্টালিকার কাঠামো বা স্ট্রাকচার।

সুতরাং শুনতে এবং ধারণাগত দিক থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ এক মনে হলেও মূলত ভিন্ন দুটো দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা যার একটি আগে অর্জিত হবে এবং আরেকটি পরে অর্জিত হবে। একটি সফল হলে, আরেকটিও সফল হবে, আর যদি প্রথমটি ব্যর্থ বা ত্রুটিপূর্ণ হয় তাহলে দ্বিতীয়টিও ব্যর্থ বা ত্রুটিপূর্ণ হবে।

তাত্ত্বিকভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কাজ শতভাগ সম্পন্ন করেই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কাজটা শুরু করার কথা। কিন্তু বাস্তবে হয়ত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কিছু কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার কর্মসূচি হাতে নিতে হয়েছে। কেননা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজ একটি চলমান প্রক্রিয়া, পক্ষান্তরে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের কর্মসূচি পূর্ণতা দেওয়ার লক্ষ্য। ফলে এই দুটো কর্মসূচি সম্পূর্ণ পৃথক হলেও এর কিছু কাজ যুগপৎ চলবে এটাই স্বাভাবিক।

তাছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের ডেডলাইন নির্ধারণ করা হয়েছে ২০৪১ সাল, তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের কাজে হাত দিলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জিত হবে না। এ কারণেই এখন দুটো কর্মপরিকল্পনাই যুগপৎ এগিয়ে নিতে হবে। কিছু কাজের প্রয়োজনীয়তা দুটো কর্মপরিকল্পনায়ই সমানভাবে আছে, তাই কার্যকর সমন্বয় করার মাধ্যমে পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ করে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের অসমাপ্ত কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কাজও যুগপৎ এগিয়ে নেয়া সম্ভব।

এই লক্ষ্য সামনে রেখেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে সুচিন্তিতভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছে যার বিস্তারিত বর্ণনায় যথার্থই উল্লেখ আছে যে ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরর কথা। আর এই রূপান্তরের কাজটি সঠিকভাবে করতে পারলে ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যেই স্মার্ট বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন সম্পন্ন করা সম্ভব।

লেখক: সার্টিফাইড অ্যান্টি-মানিলন্ডারিং স্পেশালিস্ট ও ব্যাংকার, টরনটো, কানাডা।
[email protected]

এইচআর/এমএস

ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ দুটো সম্পূর্ণ পৃথক দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা যা একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত হলেও দুটোর, লক্ষ্য, বাস্তবায়নের ধরন এবং ফলাফল একেবারেই ভিন্ন প্রকৃতির। বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলার প্রথম পর্যায়ের কর্মপরিকল্পনা হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। পক্ষান্তরে ডিজিটাল বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে একে পূর্ণতা দেওয়ার কর্মপরিকল্পনাই হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।