আপনি কি চাইবেন প্রিয় স্বজনের করুণ পরিণতি?
মিজান মালিক
বিদেশ ফেরত কোনো মানুষকে যদি আপনার পাশে বা ঘরের বাইরে ঘোরাফেরা করতে দেখেন, তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলুন।
শহরে কিংবা গ্রামে। কেউ অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাবেন না।
সরকারও বিষয়টি নিয়ে সিরিয়াস। সে কারণে ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবসের সব রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। বারবার নানাভাবে সতর্ক করা হচ্ছে। নানাভাবে চেষ্টা চলছে মানুষ যাতে স্বস্তি পায়। হয়তো মন্ত্রীদের অতি কথনের কারণে মানুষ বিরক্ত। সমন্বয়হীনতা কিংবা মেডিকেল ইক্যুইপমেন্টর ক্রাইসিস আছে। কিন্তু চেষ্টায় আছেন সবাই।
আপনার আশেপাশের কেউ আক্রান্ত হয়েছেন, তা হটলাইনগুলোতে জানান। সেবা পেলে সেটাও জানান। অন্যরা সাহস পাবেন। সেবা না পেলে সেটাও জানান। সেটা থেকে সাবধানতা বাড়বে।
আমরা জানি, একজনের কারণে শত শত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। মারা যাচ্ছে। চোখে আঙুল দিয়ে আবার দেখিয়ে দিন। না হলে ২০১৮ সালের সংক্রামক আইন অনুযায়ী ৬ মাসের জেল ভোগ করতে হবে।
এরই মধ্যে সারাবিশ্বে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১০০ কোটি মানুষ। মৃত্যুর মিছিলে ১৩ হাজার ৭১ জন। প্রতিদিন শত শত মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। রাস্তায় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে যাচ্ছেন। কারো মৃতদেহ পড়ে আছে।
দেশে আক্রান্ত হয়ে গতকাল মারা যাওয়া বাবার দাফনে অংশ নিতে পারেননি তার ছেলে। এর চেয়ে আর হৃদয়বিদারক, কষ্টের, অবর্ণনীয় আর কী হতে পারে।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। এ বিপদে নিজে ভালো থাকুন। আপনি আমি সচেতন হলে হয়তো আমাদের প্রিয় মানুষগুলো এ ভাইরাস থেকে রক্ষা পাবে। সবাই ভালো থাকবেন। সবার মন ভালো থাকুক। কোনো দুঃসংবাদ ছাড়া দিনটি সবার ভালো কাটুক।
সুস্থ থাকুন এ কামনা করছি।
লেখক: সাংবাদিক, কবি ও কথাশিল্পী।
এসইউ/এমকেএইচ