সুড়ঙ্গ শেষের আলো

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল
প্রকাশিত: ১১:০৩ পিএম, ২৮ মে ২০২০

বহুকাল আগে আমি বেশ কয়েক বছর লস এঞ্জেলস এলাকায় ছিলাম। সেখানে যাওয়ার পর আমি আবিষ্কার করেছিলাম সেটি হচ্ছে ভূমিকম্পের এলাকা। একবার একটা মোটামুটি বড়সড় ভূমিকম্পের ভেতর দিয়ে যাওয়ার পর আমার ভেতর ভূমিকম্প নিয়ে এক ধরনের আতঙ্কের জন্ম নিল। আমার বাসাটি ছিল কাঠের, ভূমিকম্পের সময় কাঠের বাসা বেশ নড়েচড়ে এবং অত্যন্ত বিচিত্র এক ধরনের ক্যাঁচ-ক্যাঁচ শব্দ করে এবং সেই শব্দ শুনে আমার আত্মা খাঁচাছাড়া হয়ে যেতে লাগল। রাতে ঘুমাতে পারি না বিছানায় বসে থাকি। কোনো উপায় না দেখে তখন একদিন আমি ভূমিকম্পের ওপর লেখা একটা বই কিনে আনলাম, এলাকায় ভূমিকম্প বেশি বলে সেখানে ভূমিকম্পের ওপর বিজ্ঞানী বেশি, গবেষণাও বেশি। মানুষ যেভাবে ডিটেকটিভ বই পড়ে আমি সেভাবে এক নিঃশ্বাসে সেই বইটি পড়ে শেষ করলাম।

ভূমিকম্প কীভাবে হয়, সেটি হলে কী হতে পারে তার একেবারে পুরোপুরি বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ পড়ার পর আমি হঠাৎ করে আবিষ্কার করলাম যে, ভূমিকম্প নিয়ে আমার যে ভয়াবহ একটা আতঙ্ক ছিল সেটি পুরোপুরি দূর হয়ে গেছে। আমি তখন শুধু যে ভূমিকম্প সম্পর্কে জেনেছিলাম তা নয়, আমি আরও একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শিখেছিলাম। সেটি হচ্ছে, যে বিষয়টি সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না সেটি নিয়ে আমাদের এক ধরনের আতঙ্ক থাকে, বিষয়টি জেনে গেলে আতঙ্ক দূর হয়ে যায়। যত বড় দুর্যোগই হোক বাস্তবমুখী হয়ে সেটার মুখোমুখি হওয়াটাও তখন অনেক সহজ হয়ে যায়।

করোনার দুর্যোগের সময় সারা পৃথিবীতে এই ব্যাপারটা ঘটছে। এটা সম্পর্কে জানে না বলে মানুষের মনে অযৌক্তিক আতঙ্ক অনেক বেশি। শুধু তাই নয়, যারা পুরো বিষয়টা সম্পর্কে না জেনে শুধু খণ্ডখণ্ডভাবে সেটা জানেন, তারা বিষয়টাও খণ্ডখণ্ডভাবে বিশ্লেষণ করছেন। যারা অর্থনীতিবিদ তারা শুধু অর্থনীতির দিকটা দেখছেন, যারা ব্যবসায়ী তারা শুধু নিজের ব্যবসার কথা চিন্তা করছেন, শ্রমিকদের ভালো-মন্দ নিয়ে তাদের বিশেষ মাথাব্যথা নেই। যারা সমাজবিজ্ঞানী তারা সমাজের কী অবস্থা সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন, মনোবিজ্ঞানীরা মানসিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করছেন, শিক্ষাবিদরা ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে ভাবনা এবং দুর্ভাবনা করছেন এবং আমার ধারণা ডাক্তার-নার্সরা তাদের কাজ নিয়ে এতই ব্যস্ত যে অন্য কিছু নিয়ে চিন্তাভাবনা করার সময়ই পাচ্ছেন না।

সবচেয়ে কঠিন দায়িত্ব এখন রাষ্ট্রনেতাদের, সবার কথা শুনে তাদের এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে যেটি সবকিছুকে সমানভাবে গুরুত্ব দেয়। (তবে সেই রাষ্ট্রনেতারা যদি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো রাষ্ট্রনেতা হয়ে থাকে তাহলে ব্যাপারটি আলাদা, দোষ দেয়ার জন্য শুধু একটির পর আরেকটি মানুষ, সংগঠন কিংবা দেশকে খুঁজে বের করতে হবে, তার বেশি কিছু করতে হবে না।)

এবারের করোনাদুর্যোগে একটা বিষয় বেশ বিচিত্র। এই বিষয়ে যারা সত্যিকারের বিশেষজ্ঞ তারা খুব বেশি মুখ খুলছেন না। কিছু একটা জিজ্ঞেস করলেই তারা বলছেন, এই ভাইরাসটি এতই নূতন যে কেউ এটা সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানে না, আমরাও তাই নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছি না। এই সুযোগে ছোট বিশেষজ্ঞ কিংবা গুগল বিশেষজ্ঞরা মাঠে নেমে পড়েছেন, তারা সবসময়ই সবাইকে জ্ঞান দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের জ্ঞানের ভারে পুরো পৃথিবীই মোটামুটি ভারাক্রান্ত।

তবে কিছু কিছু বিষয় অবশ্য আমরা বুঝতে পারছি না, মাস্ক পরার প্রয়োজন আছে কি নেই সেটি নিয়ে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের মাঝে বিশাল বিতর্ক, সেই বিতর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে কিনা আমি জানি না কিন্তু এখন সবাই মাস্ক পরছে। হ্যারি পটারের জগৎবিখ্যাত লেখিকা জে কে রাউলিং জানিয়েছেন, তার সম্ভবত কোভিড-১৯ হয়েছিল, সেটা পরীক্ষা করতে পারেননি কিন্তু তার সব রকম উপসর্গ ছিল। ডাক্তার স্বামীর উপদেশ অনুযায়ী একটা বিশেষ ধরনের শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে গেছেন।

একজন মানুষ যদি নিজের ঘরের ভেতর বিশেষ এক ধরনের পদ্ধতিতে শ্বাস-প্রশ্বাস নেন তাতে পৃথিবীর অন্য কারও কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয় কিন্তু আমি অবাক হয়ে লক্ষ করেছি এই কথাটি বলার জন্য বিশেষজ্ঞরা তার ওপর চড়াও হয়েছেন! কোভিড আক্রান্ত হওয়া অনেক ডাক্তারই নিজের ঘরে আদা চা, গ্রিন টি, এসব খেয়েছেন কিন্তু মুখে সেটা উচ্চারণ করলেই বিশেষজ্ঞরা তাদের ওপর চড়াও হচ্ছেন। কারণটা কী কে জানে! নিজের মনোবল ঠিক রাখার জন্য কেউ যদি নিজের ঘরের ভেতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন তাতে সমস্যা কী? কেউ তো দাবি করছেন না যে এটা ধন্বন্তরী ওষুধ।

যাই হোক আমরা সারা পৃথিবীব্যাপী বিশাল একটা মহামারি একেবারে নিজের চোখের সামনে ঘটতে দেখছি, এর জন্য নিজেদের কি সৌভাগ্যবান বলব না দুর্ভাগ্যবান বলব বুঝতে পারছি না। তবে এটা পৃথিবীর জন্য প্রথমবার নয়, এর আগে অনেকবার হয়েছে এবং মোটামুটি নিশ্চিত ভবিষ্যতেও আরও অনেকবার হবে! ইনফ্লুয়েঞ্জার এ রকম একটা মহামারি ১৯১৮ সালে একবার হয়েছিল। তখন পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল অনেক কম বর্তমান জনসংখ্যা চারভাগের একভাগ। সেই মহামারিতে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিল, যেহেতু ১০০ বছর আগে পৃথিবীর মানুষ এত নিখুঁতভাবে হিসাব রাখত না তাই অনেকে মনে করেন মৃত্যুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি ছিল, সম্ভবত প্রায় এক কোটি।

১৯১৮ সালের মহামারিটির নাম স্প্যানিশ ফ্লু- এর নামকরণের ইতিহাসটাও মোটামুটি চমকপ্রদ। তখন প্রথম মহাযুদ্ধ চলছে, তাই যেসব দেশ যুদ্ধ করছে তাদের খবর প্রকাশ করায় নানারকম বিধিনিষেধ। মহামারিতে নানা দেশের সৈনিক মারা যাচ্ছে কিন্তু সেসব খবর গোপন রাখা হচ্ছে। সেই মহাযুদ্ধে স্পেন ছিল নিরপেক্ষ দেশ তাদের খবর প্রকাশে কোনো বিধিনিষেধ নেই তাই পৃথিবীর মানুষ ফ্লুয়ের খবর পেয়েছে শুধু স্পেন থেকে, সে কারণে এই ফ্লুয়ের নাম হয়ে গেল স্প্যানিশ ফ্লু! একটা অসুখের নামের সাথে অন্যায্যভাবে একটা দেশের নাম যুক্ত হয়ে যেতে পারে জেনে এবারের মহামারির রোগটির নাম তাড়াহুড়ো করে কোভিড-১৯ দেয়া হয়েছে। (তারপরও আমেরিকা এটাকে চীনা ভাইরাস হিসেবে পরিচিত করার জন্য কম চেষ্টা করেনি!)

একশ বছর আগে চিকিৎসার ব্যবস্থা মোটেও উন্নত ছিল না। এখন মানুষ যত কিছু জানে সে তুলনায় তখন মানুষ বলতে গেলে কিছুই জানতো না। চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হতো অ্যাসপিরিন, কতটুকু অ্যাসপিরিন খাওয়া উচিত সেটাও ভালো করে জানা ছিল না, তাই অনেক বেশি অ্যাসপিরিন খেয়ে তার বিষক্রিয়াতেও অনেকে মারা গেছে। তবে একটা বিষয় তখনও ঠিকভাবে জানা ছিল, সেটা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। সেটাই ছিল সেই মহামারির বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র।

সেই স্প্যানিশ ফ্লু একবার আক্রমণ করেনি, বসন্তকালে প্রথমবার, শরৎকালে দ্বিতীয়বার এবং শীতকালে তৃতীয়বার আক্রমণ করেছিল। এর মাঝে দ্বিতীয়বার আক্রমণটি ছিল সবচেয়ে ভয়ানক, বিস্ময়কর ব্যাপার হলো সেই আক্রমণে শিশু এবং বৃদ্ধরা নয় সবচেয়ে বেশি মারা গিয়েছিল তরতাজা জোয়ানরা। সময়টি ছিল মহাযুদ্ধের কাল, আমেরিকায় যত সৈনিক যুদ্ধে মারা গিয়েছিল তার থেকে বেশি মারা গিয়েছিল স্প্যানিশ ফ্লুতে। সেই মৃত্যুর কারণের অনেক ব্যাখ্যা রয়েছে এবং একশ বছর পরেও সেগুলো নিয়ে এখনও গবেষণা হচ্ছে।

এই মহামারিটি যেভাবে একদিন এসেছিল সেভাবে একদিন চলে গিয়েছিল, কীভাবে এটা নির্মূল হয়েছে তারও নানা রকম ব্যাখ্যা রয়েছে। কিন্তু যেহেতু আমি বিশেষজ্ঞ নই তাই রোগ-শোক নিয়ে একটু তথ্য জানাতে পারি কিন্তু তার ব্যাখ্যা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব না। ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর একটি মহামারি যেহেতু একদিন পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে, আমাদের এই করোনা মহামারিও নিশ্চয়ই একদিন বিদায় নেবে। ততদিন আমাদের শুধু দাঁতে দাঁত চেপে সময়টা পার করতে হবে।

২.
দুঃসময়ে একটুখানি ভালো খবরের জন্য আমরা সবাই উন্মুখ হয়ে থাকি। হোক সেটি খুবই ছোট একটা ভালো খবর তবুও সেটুকু শুনলে আমরা বুকে বল পাই, মনে হতে থাকে এ রকম ছোট ছোট অনেক ভালো খবর দিয়েই তো বিশাল বিশাল ভালো খবরগুলো তৈরি হবে।

কোভিড-১৯ এর সে রকম কোনো চিকিৎসা নেই, তারপরও সংবাদপত্রে দুটো চিকিৎসার কথা মোটামুটি গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে। তার মাঝে একটি হচ্ছে আরোগ্য হয়ে যাওয়া রোগীদের রক্ত থেকে প্লাজমা নিয়ে তার অ্যান্টিবডি দিয়ে চিকিৎসা। অন্যটি হলো রেমডেসিভির নামে একটি ওষুধ যার ফলাফল শুধু আলাপ-আলোচনায় নয় মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এই দুটোই এখন আমাদের দেশে পাওয়া সম্ভব হয়েছে। আমাদের ডাক্তাররা এবং আমাদের ওষুধ কোম্পানি সেগুলো আমাদের জন্য নিয়ে এসেছে।

করোনা সংক্রমণের বিশ্বাসযোগ্য পিসিআর টেস্ট কিট এখনও বাইরে থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে কিন্তু অ্যান্টিজেন অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট আমাদের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করেছে। আমরা খুবই আগ্রহ নিয়ে সেটার জন্য অপেক্ষা করছি। সেটার সরকারি অনুমোদন পাওয়া গেলে আমরা নিশ্চয়ই একেবারে ব্যাপকভাবে পরীক্ষা করতে শুরু করতে পারব। ‘ফলস নেগেটিভ’ নিয়ে বিতর্কটি থাকলেও, কতজন আক্রান্ত হয়েছে তার একটা ধারণা নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে। (এর মাঝে খবর পেলাম গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন, আমরা সবাই তার আরোগ্য কামনা করছি।)

করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর পৃথিবীর সব দেশেই তার জিনোম সিকোয়েন্সিং শুরু করেছে, ঠিক কেন জানি না আমরা পিছিয়ে ছিলাম। এখন আমাদের দেশে সেটা শুরু হয়েছে। আশা করছি শুধু যে সিকোয়েন্সিং হবে তা নয়, সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে এই রোগটির গতিপ্রকৃতির অনেক তথ্য বের করে নিয়ে আসা যাবে। আমাদের অনেক ছাত্রছাত্রী পৃথিবীর দেশেবিদেশে বায়োইনফরমেটিক্স নিয়ে কাজ করছে, তারা নিশ্চয়ই এই তথ্যগুলো নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমরা তাদের মুখ থেকে সেই বিশ্লেষণের ফলাফল জানার জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।

আমাদের দেশের অনেক তথ্য সংবাদমাধ্যমে আসে বলে আমরা জানতে পারি। ধান কাটা তার মাঝে একটি, এর মাঝে এবারকার বাম্পার ফলনের বিপুল পরিমাণ বোরো ধান কেটে ঘরে তোলা হয়েছে। (তবে সংবাদমাধ্যমে ছবি ছাপানোর জন্য কিছু কাঁচা ধানও কাটা পড়েছে, আশা করছি ছবি তোলার জন্য বলে খুব বেশি কাঁচা ধান কাটা পড়েনি!) আবার অনেক তথ্য আছে আমরা সেগুলো সম্পর্কে জানি না কারণ সেগুলো যারা করছেন তারা নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন সেগুলো কাউকে জানাচ্ছেন না। এ রকম একটি কাজ হচ্ছে বিভিন্ন পর্যায়ের পিপিই তৈরি করা। বিশ্ব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অনুমোদন পাওয়া প্রাথমিক লেভেলের পিপিই তৈরি করে বিতরণ করা শেষ করে এখন পুরোপুরি নিরাপত্তা দিতে পারে সে রকম পিপিই তৈরি করে বিভিন্ন হাসপাতালে সেগুলো বিতরণ করা শুরু হয়েছে।

বিদেশে আমাদের দেশের যারা আছেন তারা এর জন্য অর্থ জোগাড় করে দিয়েছেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ মানুষগুলো সেই কাজে সাহায্য করছেন। শুধু তাই নয় উত্তর আমেরিকার একটি বড় গ্রুপ তথ্যপ্রযুক্তির কাজে নীরবে সাহায্য করে যাচ্ছেন, তাদের নাম কোথাও প্রকাশিত হয় না। আমরা আশা করব আমাদের সরকার যেন পুরোপুরি নিঃস্বার্থ এই তরুণদের মেধাকে ব্যবহার করেন। লকডাউনের বিভিন্ন পর্যায়ে কখন কী সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেটি আগে থেকে সিমুলেশান করে জেনে নিলে পুরো কাজটি অনেক বিজ্ঞানসম্মত হয়।

সারা পৃথিবীর সাথে সাথে আমরা এখন গভীর একটি সুড়ঙ্গের ভেতর আছি, দূরে সেই সুড়ঙ্গ শেষের আলো। সেই আলো ধরে আমরা সবাই এগিয়ে যাচ্ছি। অতীতে যেহেতু পেরেছি, এবারও নিশ্চয়ই একসময় সেই অন্ধকার সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়ে বাইরের আলোতে পৌঁছে যাব।

২৭ মে, ২০২০

এইচআর/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।