দাম বেড়েছে পেঁয়াজের, খুশি চাষিরা
প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে রাজবাড়ীতে পাইকারি ও খুচরা বাজারে অব্যাহত রয়েছে পেঁয়াজের দামবৃদ্ধি। তবে দুই দিনের ব্যবধানে এক লাফে মণ প্রতি বেড়েছে প্রায় ৫০০ টাকা। যার প্রভাব পড়তে যাচ্ছে খুচরা বাজারে। ছবি: রুবেলুর রহমান
-
সকালে রাজবাড়ীর বৃহত্তম পাইকারি সোনাপুর পেঁয়াজ বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এদিন বাজারে প্রকারভেদে কৃষকরা প্রতি মণ পেঁয়াজ ৩ হাজার থেকে শুরু করে সাড়ে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। গত রোববার হাটে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা মণ পেঁয়াজ বেচা-কেনা হয় বলে জানা গেছে।
-
পেঁয়াজের দাম বাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। সারা বছরই তারা এই দাম চান। পাশাপাশি তারা এলসিও বন্ধের দাবি জানান। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমানে এলসি বন্ধ ও কৃষকের ঘরে পেঁয়াজ মজুদ থাকায় বাজারে সরবরাহ কম। ফলে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
-
রাজবাড়ি মসলা জাতীয় ফসল পেঁয়াজ আবাদের সমৃদ্ধ একটি জেলা। এ জেলায় সারাদেশের প্রায় ১৬ শতাংশ পেঁয়াজ উৎপাদন হয় এবং দেশের মধ্যে পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয় অবস্থান রাজবাড়ীর। ফলে এ জেলার উৎপাদিত পেঁয়াজ সারা দেশের চাহিদার বৃহৎ একটি অংশ পূরণ করে থাকে।
-
জেলার ৫ উপজেলায় কম বেশি পেঁয়াজের আবাদ হলেও কালুখালী, বালিয়াকান্দি ও পাংশায় সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আবাদ হয়। এবছর হালি পেঁয়াজ আবাদের জন্য বীজতলা তৈরি, হালি কেনা, সার-কীটনাশক দিয়ে জমি প্রস্তুত, সেচ, শ্রমিক মুজরিসহ প্রতি বিঘায় প্রায় ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে চাষিদের।
-
রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবছর জেলায় ৩৬ হাজার ২০ হেক্টরের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে হালি পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৩৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় প্রায় ৫ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন।