স্বস্তির খোঁজে টিসিবি ট্রাকে দীর্ঘ লাইন
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন দামে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। বাজারে তেল, ডাল, চিনি থেকে শুরু করে প্রতিটি জিনিসের দাম যেন প্রতিদিনই নতুন উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে। বেতনের সঙ্গে খরচের অমিল হয়ে পড়েছে ভয়াবহ। তাই স্বস্তির খোঁজে মানুষ ভরসা রাখছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-র পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের ওপর। ছবি: মাহবুব আলম
-
রোববার সকাল থেকেই রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোডে দেখা গেছে টিসিবির ট্রাকের সামনে সাধারণ মানুষের দীর্ঘ লাইন।
-
রোদ, গরম কিংবা ধুলোবালিকে উপেক্ষা করে এক টুকরো স্বস্তির আশায় দাঁড়িয়ে আছেন নারী-পুরুষ থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষও।
-
টিসিবি ট্রাক থেকে প্রতি ক্রেতার জন্য ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি ডাল এবং ১ কেজি চিনি নির্ধারিত প্যাকেজে বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়।
-
বাজারের তুলনায় কিছুটা কম দামে এই পণ্য মিলছে বলেই মানুষ সকাল থেকে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে পড়ছে লাইনে।
-
অনেকের মুখে ক্লান্তি, কারও মুখে ক্ষোভ, কিন্তু তবুও আশার আলো একটাই অন্তত এই প্যাকেজটা মিলবে।
-
এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাজারে তেলের দাম ১৭০ টাকা লিটার। ডাল-কেজি ১৪০, চিনি ১৬০ টাকার কাছাকাছি। এই অবস্থায় সাধ্য নেই কিছু কেনার। টিসিবির এই পণ্য না থাকলে হয়তো না খেয়ে থাকতে হতো।’
-
অন্য এক গৃহিণী বলেন, টিসিবির পণ্য নিতে অনেক কষ্ট হয়, কিন্তু বাজারের তুলনায় সাশ্রয়ী। তাই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
-
বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠছে। টিসিবির এই উদ্যোগ তাদের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে।
-
তবে দীর্ঘ লাইনের ভিড়, সীমিত পণ্যের সরবরাহ এবং একেকজনের হাতে সীমিত পরিমাণ পণ্য পৌঁছানো-এসব সমস্যার কারণে চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠছে।
-
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে শুধু টিসিবি পণ্য দিয়েই মানুষের চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়।