ডেডলাইনের আগেই ইসিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেবো

ডেডলাইন ৩ আগস্টের আগেই নির্বাচন কমিশনে (ইসি) প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।

তিনি বলেছেন, নিবন্ধনের জন্য আমরা ৪৩ হাজার পাতার ডকুমেন্ট জমা দিয়েছে। তবে, কিছু জায়গায় ছোট ছোট টেকনিক্যাল বিষয় উনারা (ইসি) উল্লেখ করেছেন, যেইগুলো ঠিক করে আবার জমা দেবো। ডেডলাইন ৩ আগস্ট, তার আগেই জমা দেবো।

বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন খালেদ সাইফুল্লাহ। এর আগে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এনসিপির একটি প্রতিনিধিদল।

সেখানে খালেদ সাইফুল্লাহ ছাড়াও এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা ও ডায়াসপোরা অ্যালায়েন্সের গ্লোবাল কো-অর্ডিনেটর তারিক আদনান মুন উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেড় কোটি বাংলাদেশি রয়েছে। ভোটাধিকার নিয়ে আমাদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করছেন। প্রবাসীরা উষ্মা প্রকাশ করছেন তাদের ভোটাধিকার নিশ্চয়তা নিয়ে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো আপডেট মিলছে না। কিছু রাজনৈতিক দলের কিছু নেতা বলেছেন যারা প্রবাসীরা আছে তারা ভোট দিতে পারবেন কি না সেটা নিয়ে সংশয় আছে।

খালেদ সাইফুল্লাহ আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন যেন প্রতি সপ্তাহ অন্তর অন্তর অনলাইন ব্রিফিং করেন। যে অনলাইন ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে প্রবাসীরা আপডেট জানতে পারবেন। আমাদের যারা প্রবাসী ভাই-বোনেরা আছে যারা ভোট দিতে চায়। তারা একটাও আপডেট পান না। প্রবাসীদের অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই। তারা ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত না। তাদের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশন বলছে ১৪টা দেশে নিবন্ধন শুরু হচ্ছে। কিন্তু যেই দেশগুলোতে নিবন্ধন শুরু হয়েছে বলা হচ্ছে, সেই দেশেই আমাদের অনেকে জানাচ্ছেন যে তারা জানেন না কীভাবে এটা করবেন। এজন্য আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে এসে বলেছি যে তারা সুনির্দিষ্ট একটা রোডম্যাপ আমাদেরকে জানান। যাতে করে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারেন। এছাড়া আরও ছোট ছোট কিছু বিষয়ে কথা হয়েছে।’

নিবন্ধন এবং প্রতীকের বিষয়ে এনসিপির নেতা বলেন, আমরা প্রতীক হিসেবে শাপলা চেয়েছি, এটা আমাদের লিগ্যাল আর্গুমেন্ট। আমরা মনে করি এটা আমরা পাওয়ার যোগ্য।

এমওএস/এমএএইচ/এএসএম