শিক্ষা উপদেষ্টা নিজেকে বড় ভাবেন, হয়তো বড় কিছু কামিয়েছেন: সামান্তা
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরারকে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।
তিনি বলেছেন, শিক্ষা উপদেষ্টার ব্যাপারে সব পক্ষের অভিযোগ তিনি কাউকেই সময় দিতে চান না। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তার সব উপদেষ্টাকে সবসময় অ্যাভেইলঅ্যাবল থাকতে হবে। এটাই মানুষের আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু তিনি নিজেকে অনেক বড় কিছু মনে করেন; হয়তো বড় কিছু কামিয়েছেন। এজন্য প্রান্তিক শিক্ষকদের মূল্যায়ন করতে চান না।
রোববার (১২ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সামান্তা শারমিন বলেন, বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টাকে নিয়োগের পর আমরা মনে করেছিলাম তিনি নিজে যেহেতু শিক্ষক, সেজন্য শিক্ষকদের অবহেলার জায়গাটা বুঝবেন। কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির পর তার কর্মকাণ্ড। তিনি এলিট হয়ে আমলাদের দাসত্ব করছেন।
আরও পড়ুন
প্রত্যেক উপদেষ্টা আখের গোছানোর কাজ করে রেখেছেন: সামান্তা শারমিন
রাস্তায় ফেলে শিক্ষক পেটানো কোনো সভ্য রাষ্ট্রের চরিত্র নয়: হাসনাত
শিক্ষা উপদেষ্টাকে নিয়ে সমালোচনা করেছেন দলটি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহও। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষাবান্ধব সরকার হওয়ার কথা ছিল। অথচ সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা হয়েছেন প্রমোশনবান্ধব। ফ্যাসিস্ট আমলে যারা হাসিনার জন্য রাস্তায় স্লোগান দিয়েছেন, ঢাকা শহরে ভালো ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনি তাদের পোস্টিং দিচ্ছেন। অর্থের বিনিময়ে পদায়ন অব্যাহত রয়েছে।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেওয়া এনসিপির আরও দুই নেতা শিক্ষা উপদেষ্টাকে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন। তারা হলেন- যুগ্ম সদস্য সচিব ও শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদীন শিশির প্রমুখ।
শিক্ষকদের আন্দোলন, হামলা, আহত ও আটকের বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছেন। তাদের ভাষ্য, তারা প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। অনুমোদন হলে শিক্ষকরা বাড়িভাড়া ভাতা পাবেন, না হলে তাদের কিছু করার নেই।
শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলাসহ সার্বিক বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি আছে কি না, এমন প্রশ্নে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাকে এ ব্যাপারে উপদেষ্টা স্যার অথবা অন্য কেউ কিছুই জানাননি। ফলে আমিও এ নিয়ে কিছুই বলতে পারছি না।’
এএএইচ/কেএসআর/জেআইএম