করোনার কারণে বাজারময় মূল্যবৃদ্ধির হাওয়া বইছে : ন্যাপ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৮ পিএম, ১৯ মার্চ ২০২০

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে গুজব ছড়িয়ে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, ভোজ্যতেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা করেছে একটি অসাধু মহল। বাজারে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। করোনায় মূল্যবৃদ্ধির হাওয়া বইছে বাজারে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু নিত্যপণ্যের আমদানি মূল্যের তুলনায় বিক্রয়মূল্য অযৌক্তিক হারেই বৃদ্ধি পেয়েছে। সবার মনে সৃষ্টি হয়েছে অজানা ভয়-শঙ্কা।’

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ সব কথা বলেন তারা।

তারা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে শপিংমল কিংবা দোকানপাট কখন যে বন্ধ হয়ে যায়, সে আশঙ্কায় নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও অন্যান্য দ্রব্য বেশি পরিমাণে কিনে বাসায় মজুত করতে শুরু করেছে জনগণ। এতে রাজধানীর কাঁচাবাজারসহ সুপারশপগুলোতে কেনাকাটার হিড়িক পড়েছে। এ সুযোগে একটি স্বার্থান্বেষী মহল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সংকটের গুজব ছড়িয়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় বাজার অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সরকারকে এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষ অবৈধ সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি। যে দুর্যোগ মানুষের সামনে আসবে তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় অবৈধ ব্যবসা। যেখানে ব্যবসায়ীরা মানুষের কল্যাণে কাজ করার কথা, সেখানে দেশের দুঃসময় ও দুর্যোগে তারা অবৈধ ব্যবসা নিয়ে মত্ত থাকে। কখনও পেঁয়াজের মূল্য, কখনও চিনির মূল্য, কখনও আদা-রসুনের মূল্য কখনও বা ধান-চালের মূল্য ইত্যাদি যেন পরস্পর যোগসাজশে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবৈধ সিন্ডিকেটের খপ্পরে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে, দেশের দরিদ্র মানুষরা হয় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।’

তারা আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও যখন করোনাভাইরাস আক্রমণ করেছে সঙ্গে সঙ্গে মাস্কের দাম বৃদ্ধি করে ফেলল অবৈধ সিন্ডিকেট ও মজুতদাররা। যেখানে মাস্কের দাম ৫/১০ টাকা দিয়ে পাওয়া যায় সেখানে একটি মাস্কের দাম ১০০ থেকে ৩০০ টাকা বিক্রি করছে এ সিন্ডিকেট। তাছাড়াও বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে মজুতদারদের অবৈধ মজুতদারিতে বেড়েছে ধান- চাল, ডাল, চিনিসহ বেশ কয়েকটি ভোগ্যপণ্যের মূল্যও।’

অবৈধ সিন্ডিকেট ও মজুতদারি রোধে সরকার ও প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও তা বাস্তবায়ন খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারে না বলেও উল্লেখ করেন তারা।

কেএইচ/এফআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।