দোষারোপ না করে একযোগে কাজ করার আহ্বান জাসদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৩ পিএম, ০৮ এপ্রিল ২০২০

করোনা মোকাবিলায় গাফিলতি ও প্রস্তুতিহীনতা নিয়ে কাউকে দোষারোপ না করে সবাইকে একযোগে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ।

বুধবার (৮ এপ্রিল) দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

তারা বলেন, এখন দোষ খোঁজা, দায়িত্ব এড়ানো বা অপ্রয়োজনীয় কথা বলার সময় নয়। একসঙ্গে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলার সময়। করোনার সামাজিক সংক্রমণের সংখ্যা, মাত্রা, পরিমাণ, পরিধি বাড়ছে। লকডাউনের মধ্যে করোনা আক্রান্ত ক্লাস্টার এলাকায় সামাজিক নজরদারির মাধ্যমে লক্ষণ ও উপসর্গ দেখে সম্ভাব্য রোগীদের চিহ্নিত করে তাদের টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে, সংক্রামিত রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের সংস্পর্শে আসাদের আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। আতংকিত না হয়ে করনো আক্রান্ত রোগী ও তার পরিবার বা প্রতিবেশীদের সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করতে নিষ্ঠুরতা না দেখিয়ে যতটা সম্ভব সহমর্মিতা দেখাতে হবে। কেননা সামাজিক নিষ্ঠুরতার ভয়ে অনেকেই করোনার উপসর্গ থাকার পরও তা লুকিয়ে রাখছেন।

তারা বলেন, সংক্রমণ ব্যাধি বিশেষজ্ঞ, শ্বাসতন্ত্র রোগ বিশেষজ্ঞ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, আইসিইউ ও সংকটযুক্ত রোগী ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি চিকিৎসা বোর্ড ও মনিটরিং টিম গঠন করে তাদের নেতৃত্বে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা এবং তাদের নেতৃত্বে অনলাইনে সারাদেশের ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের জরুরি প্রশিক্ষণ এবং এ কাজের জন্য প্রয়োজনে সংসদ টিভি বা বিটিভি ওয়ার্ল্ড বা প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল ব্যবহার করা যেতে পারে।

তারা বলেন, করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম কাতারের যোদ্ধা ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের মনোবল ও মানসিকভাবে উজ্জীবিত রাখা, তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষিত রাখতে যা যা করা দরকার তার সব ব্যবস্থা করতে হবে। করোনার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে তাদেরই থাকতে হয় এবং তারাই সরাসরি করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসেন। ফলে তাদের আক্রান্ত হওয়া ও তাদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ বিস্তারের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য ঝুঁকিবীমার পাশাপাশি তাদের প্রণোদনা ও ঝুঁকিভাতা প্রদান করতে হবে।

তারা বলেন, করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে কারাগার, বস্তি, রোহিঙ্গা ক্যাম্প খুবই নাজুক ও ঝুঁকিপূর্ণ। এসব এলাকায় বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

জাসদ নেতৃদ্বয় বলেন, সমন্বিতভাবে একযোগে কাজ করলে ও জনগণ সচেতন থাকলে মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হবে।

এইউএ/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।