‘ত্রাণ চোরদের রুখতে না পারলে ক্ষুধার্ত জনতা রাস্তায় নেমে আসবে’
ত্রাণ চোরদের রুখতে না পারলে ক্ষুধার্ত জনতা রাস্তায় নেমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) ইন্টারনেটের দূর সংযোগ পদ্ধতিতে নগর নেতাদের সঙ্গে ‘করোনায় মারা যাওয়াদের কাফন-দাফনকরণ সংক্রান্ত’ এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষে বলা হচ্ছে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুতের কথা। বাহ্যত এলাকাভিত্তিক ত্রাণের জন্য বরাদ্দও দেয়া হচ্ছে যথেষ্ট। কিন্তু তৃণমূলে পাচ্ছে কতটুকু? রাজধানী ঢাকায়ই জনপ্রতিনিধিদের তৎপরতা খুবই ন্যক্কারজনক। কোনো কোনো এলাকায় নামকাওয়াস্তে তালিকা করা হচ্ছে। আবার যাদের তালিকা করা হচ্ছে তার মধ্য থেকেও কিছু সংখ্যককে নামে মাত্র কিছু ত্রাণ দিয়ে জনপ্রতিনিধি ছবি তুলে গায়েব হয়ে যাচ্ছেন। অনেক এলাকায় তো কোনো তালিকাই কারা হচ্ছে না। লাখ লাখ মানুষ অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন। এর মধ্যে আবার বাড়িওয়ালাদের ভাড়ার তাগাদা। ফলে ফুঁসে উঠছেন ক্ষুধার্ত মানুষ।
তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিরা এলাকার জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ত্রাণসহায়তা কতজনকে কী পরিমাণ প্রদান করেছে আর চুরি করেছে কতটুকু? অনতিবিলম্বে এসব জনপ্রতিনিধির তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। ত্রাণ চোরদের শাস্তির আওতায় আনুন। সরকারি ত্রাণের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করুন। অন্যথায় ক্ষুধার্ত জনতাকে ঘরে আটকে রাখা যাবে না। জনগণ যাদি রাস্তায় নেমে আসে তারা কিন্তু এসব চোরদের রুখে দিয়ে তাদের অধিকার ছিনিয়ে নেবে। এ বিশৃঙ্খলার দায় সরকার এড়াতে পারবে না।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে সংযুক্ত হন আলহাজ আনোয়ার হোসেন, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, ডা. মুজিবুর রহমান, অ্যাড. শওকত আলী হাওলাদার, মুফতী শরীফুল ইসলাম, আলহাজ্ব আলাউদ্দিন, অ্যাড. হানিফ প্রমুখ।
এএস/এএইচ/পিআর