শ্রমিকদের ঢাকায় আসতে বাধ্য করা অপরাধের সমতুল্য : সাইফুল
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, শ্রমিকদের ঢাকায় আসতে বাধ্য করা হয়েছে, এটা একধরনের অপরাধের সমতুল্য।
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক মুক্ত আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে ‘কোভিড-১৯ : বৈশ্বিক মহামারি এবং বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
সাইফুল হক বলেন, এপ্রিলের ৪ ও ৫ তারিখে যেভাবে কোনো প্রস্তুতি ছাড়া শ্রমিকদের ঢাকায় আসতে বাধ্য করা হয়েছে, এটা একধরনের অপরাধের সমতুল্য। যখন আপনি নাগরিকদের ভালো থাকবার জন্য বলছেন তখন আবার হঠাৎ গার্মেন্টস শ্রমিকদের এভাবে এনে তাদের জীবনাশঙ্কার মধ্যে ঠেলে দেয়া হলো।
তিনি বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, গতকাল পর্যন্ত প্রায় ৪০ এর বেশি গার্মেন্টস শ্রমিক করোনায় সংক্রামিত হয়েছেন। কারও কারও জীবনাশঙ্কা করছি আমরা। এই পরিণতির জন্য সরকার ও গার্মেন্টস মালিকরা দায়ী থাকবেন।
সাইফুল হক বলেন, বাস্তবে গার্মেন্টস মালিকরা সরকারের সমান্তরালে আরেকটা সরকার চালিয়ে যাচ্ছেন কি না, নাগরিকদের মধ্যে এমন গভীর উৎকণ্ঠা প্রকাশ পেয়েছে। একদিকে বলছেন লকডাউন, বাসায় থাকেন। আরেকদিকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিয়ে আসছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দিয়েছেন। দেড় মাস-দুই মাস পার হয়ে গেছে, অধিকাংশ পরিবারের কাছে এখনও কোনো খাদ্য সামগ্রী যায়নি। কোনো ত্রাণ যায়নি। নগদ টাকার তো প্রশ্নই উঠে না। পরিস্থিতি যদি এভাবে চলতে থাকে, এই মানুষগুলোকে প্রায় একটা দুর্ভিক্ষ অবস্থার দিকে ঠেলে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন একটা জাতীয় দুযোর্গ। সবাইকে মিলে এই যুদ্ধকালীন দুযোর্গ মোকাবিলা করা দরকার। এখনও পর্যন্ত সরকার একলা চলো নীতি অব্যাহত রেখেছে। তাদের কানে পানি ঢুকছে না। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, এখন দলীয় সংকীর্ণতা, দলীয়করণ ও দলবাজের সময় নেই। সবাইকে একযোগে কাজ করার উদ্যোগ নিতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ, কল্যাণ পার্টির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম প্রমুখ।
কেএইচ/জেডএ/এমকেএইচ