‘রোজা রাখছেন, কঠিনভাবে ধর্মীয় বিষয় পালন করছেন খালেদা’
একদিকে শারীরিক অসুস্থতা অন্যদিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি-এ দুই মিলে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এসব পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত কারোর সঙ্গে দেখা করবেন না তিনি। তবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত ভিডিও কনফারেন্সে যোগাযোগ হচ্ছে তার। দলীয় সূত্রে এসব কথা জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলেও নাতি-নাতনিসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত ভিডিও কনফারেন্সে যোগাযোগ হচ্ছে। বাসায় খালেদা জিয়ার রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা ছাড়াও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা হচ্ছে নিয়মিত। দোতলায় বসে সেগুলো করছেন সার্বক্ষণিক সঙ্গে থাকা সেবিকা সাকিলা বেগম। এছাড়া দু-একদিন পরপরই বাসায় গিয়ে স্বাস্থ্যের খোঁজ নিচ্ছেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ডা. মামুন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার পুরো বিষয়টি লন্ডনে বসে তদারকি করছেন পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান।
বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ম্যাডাম এখনও হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।’ তিনি বলেন, এখন তো গোটা দেশই হোম কোয়ারেন্টাইনে। (খালেদা জিয়া) রোজা রাখছেন, কঠিনভাবে ধর্মীয় বিষয় পালন করছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ উনার এই বয়সে আর শারীরিক অবস্থায় অন্যান্য সাধারণ মানুষ যা খেয়ে থাকেন, ম্যাডামও তাই খান। কোনো বিশেষ খাবার খান না। হয়তো পরিমাণে কম বেশি হতে পারে।’
খালেদা জিয়ার বোন বেগম সেলিমা ইসলাম গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘তিনি ও তার ভাইয়ের স্ত্রী এবং চিকিৎসকরা ছাড়া অন্য আত্মীয়-স্বজন বা দলের কেউ তার (খালেদা জিয়া) সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তিনি কারোর সঙ্গে দেখা করবেন না।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এখনও উনি কারোর সঙ্গে দেখা করেননি। আমরাও চাই না দেখা করতে। ওনার শরীরের যে অবস্থা তা রিকভার করতে কয়েক মাস লাগবে। আর এখন তো তেমন কোনো পলিটিক্যাল ইস্যুও নাই।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আসলে যোগাযোগটা আমাদেরও নাই। আমরা নানাভাবে জানার চেষ্টা করি তিনি কেমন আছেন। শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন নাই। মানসিক একটু স্বস্তি যে বাড়িতে আছেন। এখন চারিদিকে সীমাবদ্ধতা থাকায় চিকিৎসা হচ্ছে না।’
এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগটা হয় টেলিফোনের মাধ্যমে। ওনার পাশে যারা আছেন ওনাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আগের তুলনায় একই রকম আছেন প্রায় বলা যায়। তবে একটু ইমপ্রুভ হয়েছে। সুগারটা মাঝেমধ্যে কমে নিয়ন্ত্রণে আসে, আবার আসেও না।’
কেএইচ/এসআর/পিআর