মৃতের সংখ্যা যখন ঊর্ধ্বমুখী তখন এ ধরনের সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কোন বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে লকডাউন ক্রমান্বয়ে শিথিল করে এখন শপিংমল ও দোকানপাট খোলার মধ্য দিয়ে প্রায় উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে— দেশবাসী তা জানতে চায়।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেই বলছেন, এভাবে সবকিছু খুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যু আরও বাড়বে। এর পরপরই বলেছেন, এ ব্যাপারে টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শ শোনা হবে। তাহলে ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেয়া কেন? বিশেষজ্ঞ টেকনিক্যাল কমিটিকেও স্পষ্ট করে বলতে হবে, তারা এ ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন কিনা?
দেশের অর্থনীতি সচলের প্রয়োজনীয়তা সবাই বোঝে। কিন্তু যদি গার্মেন্ট মালিক, দোকান মালিকদের স্বার্থকে প্রধান করে দেখা হয় তখন সেটা গ্রহণযোগ্য হয় না। এখানে রাস্তার দোকানদাররাও তাদের দোকান বসাতে পারবে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অর্থনীতি সচলের তাগাদার পরও তার রোষ উপেক্ষা করে বিশেষজ্ঞ পরামর্শক ডা. ফাউসী সবকিছু খুলে না দেয়ার পক্ষে অটল রয়েছেন। ব্রাজিলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট বারসোলনার সবকিছু সচল রাখার মতমতকে বিরোধিতা করে মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদেরও সরকারকে বলতে হবে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা যখন ঊর্ধ্বমুখী তখন এসব সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী কি-না?”
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জনমনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এসব বিষয় স্পষ্ট করলেই জনগণের মধ্যে আস্থা ও স্বস্থি ফিরে আসবে। করোনা পরিস্থিতি সঠিকভাবে মোকাবিলা করা যাবে।
এইউএ/এমএআর/পিআর