গণপরিবহন ও অফিস চালুর ঘোষণায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের নিন্দা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩২ পিএম, ২৮ মে ২০২০

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত-মৃত্যু যখন লাফিয়ে বাড়ছে তখন বিশেষজ্ঞ মতামত উপেক্ষা করে সকল অফিস, আদালত, দোকান-পাট খুলে দেয়া এবং সড়ক-নৌ-রেলসহ গণপরিবহন চালুর ঘোষণায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) এক যৌথ বিবৃতিতে সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।

জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ এবং কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য সিপিবি সভাপতি মুজাদিুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদের (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী, কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, যেখানে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন জুনের ১৫ তারিখের পর দেশে করোনা সংক্রমণ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানো এবং তারপর থেকে সংক্রমণ কমার সম্ভাবনা রয়েছে, তখন ৩১ মে থেকে সব খুলে দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত জনগণের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা এবং চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় বহন করে।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে যখন সংক্রমণ ও মৃত্যু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তখন সরকারের এমন সিদ্ধান্ত জনগণের বাঁচা-মরাকে ভাগ্যের ওপর ঠেলে দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকা ও দায়িত্ব এড়ানোর অপচেষ্টা মাত্র।

নেতারা বলেন, যেখানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভঙ্গুর, সরকারের অস্থিরতা ও সমন্বয়হীনতা প্রকট সেখানে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ লাইনে চলার সরকারের সিদ্ধান্ত গরিবের ঘোড়া রোগের শামিল। কারণ যে সব দেশ হার্ড ইমিউনিটির কথা বলছে তারা গণহারে ব্যাপক জনগণকে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা করে আক্রান্তদের আইসোলেশনে নিচ্ছে, চিকিৎসা দিচ্ছে। আমাদের তো শুরু থেকেই পরীক্ষা সীমিত আকারে করা হচ্ছে, আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য গোপন করা, হাসপাতালসমূহের অব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে দুর্নীতি বর্তমান সরকারের ব্যর্থতাকে উন্মোচিত করেছে। এখন এই অর্বাচীন সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার তার দায়িত্বহীনতার চরম প্রকাশ ঘটালো।

বিবৃতিতে নেতারা জনগণের জীবনের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে নেয়া সরকারের সব কিছু স্বাভাবিক, সচল করার এমন সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করে বিশেষজ্ঞ মতামতকে গ্রাহ্য করে অন্তত সংক্রমণ চরমে পৌঁছানো পর্যন্ত অফিস, আদালত, দোকান-পাট, গণপরিবহন বন্ধ রাখার দাবি জানান।

এইউএ/এমএসএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।