সবকিছু খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে ড্যাবের উদ্বেগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪৭ পিএম, ২৯ মে ২০২০

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বেড়ে চলেছে। এরই মধ্যে সারা দেশে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালুর জন্য সরকার যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছ বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

শুক্রবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ব মহামারি করোনার করাল থাবা বাংলাদেশকে আক্রমণ করার পর থেকেই পেশাজীবী সংগঠন হিসেবে ড্যাব সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রতিটি পদক্ষেপে সচেতন করার চেষ্টা করেছে। সংগঠনটি গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে কোভিড মোকাবিলায় সরকারকে সঠিক পথে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কোভিড মোকাবিলায় ধারাবাহিক ব্যর্থতা প্রদর্শন করেছে।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কার্যত সারা দেশে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। অথচ প্রতিদিন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রেকর্ডসংখ্যক রোগী শনাক্ত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। ড্যাব সরকারের এহেন প্রজ্ঞাপন জারির প্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম এক যৌথ বিবৃতিতে সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘ, দেশি ও বিদেশি কোভিড সংশ্লিষ্টতা গবেষণাকর্মী এবং বিশ্লেষকগণ বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণপূর্বক কঠোর লকডাউন তথা প্রয়োজনে কারফিউ জারির পরামর্শ দিচ্ছেন। তখন সরকার সবকিছু চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন- যা আত্মহননের শামিল।

তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, সরকারের এই হঠকারী সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। সীমিত সম্পদ ও ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে সমাগত ভয়াবহতা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।

ড্যাবের নেতৃবৃন্দ দেশ ও মানুষ বাঁচাতে অনতিবিলম্বে সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান। নতুবা উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।

কেএইচ/এফআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।