আংশিক তথ্য দিচ্ছে সরকার, গোপন করছে ভয়াবহতা : জেএসডি
যেখানে ৪৩টি জেলায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থাই নেই, সেখানে সারা দেশের তথ্য দেয়ার নামে সরকার আংশিক তথ্য-উপাত্ত দিয়ে করোনার ভয়াবহতা গোপন করছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।
বুধবার (২৪ জুন) দলটির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন।
তারা বলেন, ‘দ্রুত পরীক্ষা, দ্রুত শনাক্তকরণ, দ্রুত আইসোলেশন এবং দ্রুত চিকিৎসা যখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তখনও ৪৩টি জেলায় সরকার করোনা পরীক্ষার কোনো ল্যাব স্থাপন করতে পারেনি। সারা দেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনার নামে দেশবাসীকে আংশিক তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সরকার করোনার ভয়াবহতা গোপন করছে। এর মাধ্যমে করোনার প্রকৃত পরিস্থিতি দেশবাসী জানতে পারছে না, বরং সরকার দেশবাসীকে অন্ধকারে রেখে দিচ্ছে।’
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘আশ্চর্যজনক, সরকার প্রমাণিত অদক্ষ, অদূরদর্শী দুর্নীতিগ্রস্ত এবং লণ্ডভণ্ড স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় আজ পর্যন্ত ন্যূনতম সংস্কারের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করে মৃত্যুর দীর্ঘ মিছিলকে প্রলম্বিত করে যাচ্ছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সংক্রমণের গতি এখন ঊর্ধ্বমুখী। এসব সারা দেশে মানুষের মনে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে করোনাযুদ্ধে জড়িত ফ্রন্টলাইনের চিকিৎসক-নার্স স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশের মৃত্যু জনজীবনে বড় ধরনের শঙ্কার জন্ম দিচ্ছে।’
জেএসডির নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘দুঃখজনক যে, সম্মুখযুদ্ধে আক্রান্ত চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিজ হাসপাতালেই চিকিৎসা পাচ্ছেন না। বিশাল জনবল ও অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও সরকার হাসপাতালগুলোকে কাজে লাগাতে পারছে না। এতে করোনা পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়েছে।’
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারি সামাল দিতে সরকার দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। অনিশ্চিত স্বাস্থ্য ঝুঁকিও যে অর্থনীতিতে হুমকি সৃষ্টি করতে পারে সরকার তাও বিবেচনায় নিচ্ছে না। সরকার মানুষের মৃত্যুকে পরিসংখ্যানের তথ্য-উপাত্ত হিসেবে দেখছে। উন্নত বিশ্বের তুলনায় মৃত্যু সংখ্যা কম বলে সরকার আত্মতুষ্টিতে ভুগছে, যা সরকারের নিতান্তই এক নির্মম মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। জীবন সুরক্ষার চেয়ে শ্রেষ্ঠ আর কিছু হতে পারে না।’
তারা আরও বলেন, ‘অতিদ্রুত চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্যবিদ, নার্স, সাংবাদিক, পুলিশসহ অংশীজন সকল শ্রম কর্ম ও পেশাজীবী সমাজশক্তির প্রতিনিধির সমন্বয়ে জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিল (National Health Council-NHC) গঠন করুন এবং করোনা মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্য স্থাপন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে মানুষের অমূল্য জীবনের সুরক্ষা দেন।’
এইউএ/এফআর/এমএস