করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধের আহ্বান ন্যাপের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২৭ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২০

করোনাভাইরাসের পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধেও যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে বাঁচতে হলে মশক নিধনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে আরও সক্রিয় হতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মানুষজনকে সচেতন করে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে প্রতিষেধকের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।

তারা বলেন, করোনা মহামারি প্রতিরোধে সবাই যখন ব্যস্ত সময় পার করছে, তখন নীরবে-নিভৃতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়ায় অনেকে জ্বর হলেও হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না। মূলত এ কারণেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সঠিক চিত্র প্রতিফলিত হচ্ছে না।

নেতৃদ্বয় বলেন, গত বছর ডেঙ্গুর প্রকোপের সময় বিশেষজ্ঞরা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে বছরজুড়ে কার্যক্রম পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছিলেন। দুঃখজনক হলো, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তা পরিপালন করেনি। এখন যদিও কিছু কিছু কার্যক্রম চোখে পড়ছে, তবে সবকিছু কার্যকর ও সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে না পারলে পরিণতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। গত বছর মশার ওষুধ নিয়ে অনেক অনিয়ম হয়েছে এবং এর ফল কী হয়েছিল, তা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। রাজধানীসহ দেশের অন্তত ৬২ জেলায় ব্যাপক হারে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছিল।

তারা আরও বলেন, প্রাণঘাতী করোনার সঙ্গে ডেঙ্গুও প্রতিরোধ করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকার কালবিলম্ব না করে এখনই যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে জনজীবন রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। করোনার পরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘটলে ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হবে। তাই ঢাকা সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র ও কাউন্সিলররা এখনই এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন বলে আশা করছি।

নেতৃদ্বয় বলেন, যেখানে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই, সেখানে স্বভাবতই কয়েকদিন ধরে পানি জমে থাকে। বিশেষত নির্মাণকাজ চলছে এমন জায়গায় এটি বেশি দেখা যায়। এসব জায়গায় জমে থাকা পানি অপসারণের পাশাপাশি নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটাতে হবে। মশা নিধনের ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে অতীতে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে তা তদন্তপূর্বক বিচার করতে হবে। যাতে কেউ ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম-র্দুর্নীতি করার দুঃসাহস দেখাতে না পারে।

কেএইচ/এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।