করোনা : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কারণেই জনগণের মধ্যে শিথিলতা
করোনা পরিস্থিতির বর্তমান অবস্থায় সারাদেশে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত বিষয়াবলী কঠোরভাবে প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর দুই দিনের ভার্চুয়াল বৈঠকের পর সভার প্রস্তাবাবলী ও সিদ্ধান্ত হয়।
পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত প্রস্তাবে বলা হয়, এ ব্যাপরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গা ছাড়াভাব, উদ্যোগহীনতা, পরামর্শক কমিটির পরামর্শ উপেক্ষা জনগণের মধ্যে অনীহার জন্ম দিয়েছে। করোনা শনাক্তকরণ টেস্ট কার্যক্রম কমিয়ে দেয়া, চিকিৎসকদের কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা তুলে দেয়া ও সর্বোপরি করোনার প্রকৃত চিত্র আড়ালের কারণে জনগণকে এ ব্যাপারে অনুৎসাহিত করে তুলেছে। দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত স্বাস্থ্য অধিদফতর এখন নিজেদের বাঁচাতে ব্যস্ত। ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কেই জনমনে অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির প্রস্তাবে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতি রোধ করতে কান না টেনে মাথা টানার কথা বলা হয়। প্রস্তাবে বলা হয় করোনা সংক্রমণ রোধের ব্যবস্থাকে ধরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সামগ্রিক পুনর্গঠন করতে হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির প্রস্তাবে বলা হয়, এ অবস্থায় যখন জনগণের ক্রয়ক্ষমতা একেবারেই নিম্নমুখী, প্রতিটি স্তরের মানুষের আয় কমেছে- সেখানে চাল, পেঁয়াজ, রসুন, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে এ জন্য সিন্ডিকেট দায়ী।
পার্টির পলিটব্যুরোর প্রস্তাবে বলা হয়, সরকার পাটকলের পর দেশের চিনিকল বন্ধের পদক্ষেপ নিতে চলেছে। ফলে কেবল সাধারণ ভোক্তা নয় দেশের চিনিকল শ্রমিক ও বিশাল সংখ্যক আখ চাষী চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পার্টি চিনিকল চালু রাখা ও আখ চাষীদের স্বার্থরক্ষায় ৭ অক্টোবর সারাদেশে সমাবেশ, মানবন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।
সভায় দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর রিপোর্ট দেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। আলোচনায় অংশ নেন পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, ড. সুশান্ত দাস, কমরেড মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমদ বকুল, কামরূল আহসান, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম হক্কানী, হাজি বশিরুল আলম, জ্যোতি শংকর ঝন্টু, কমরেড অধ্যাপক নজরুল হক নীলু, আলী আহমেদ এনামুল হক এমরান।
এইউএ/এএইচ/এমএস