‘ধোঁয়াশা’ কাটাতে ভ্যাকসিন চুক্তির বিষয় পরিষ্কার করুন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:১১ এএম, ০৬ জানুয়ারি ২০২১

‘ধোঁয়াশা’ কাটাতে দেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আনার চুক্তির বিষয়ে পরিষ্কার করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ (ন্যাপ)।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এ আহ্বান জানান।

ন্যাপের নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা ভ্যাকসিন কবে আসবে, তা নিয়ে এত বিভ্রান্তি কেন? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিব বলেছেন- আমরা চুক্তি অনুযায়ী টিকা পাব। চুক্তির ভিত্তিতে কথা বলছি। এখন সেই চুক্তিতে কী আছে, সেটাও তো পরিষ্কার করে বলা হয়নি। চুক্তি সম্পর্কে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে জিটুজি আর বেক্সিমকো বলছে বাণিজ্যিক, তাহলে আসলে কোনটা। বেক্সিমকোর এমডি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন- তারা যে চুক্তি করেছেন, সে অনুযায়ী সেরাম ইনস্টিটিউট ভ্যাকসিন দিতে বাধ্য। এখন সেরামের সিইও যদি বলেন, তারা এখন দিতে পারবে না, তাহলে কী তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া যাবে?

তারা আরও বলেন, যেহেতু এটা একটা জাতীয় সঙ্কট, তাই চুক্তির বিষয় বস্তুটা পরিষ্কার করা উচিত। ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক কথাই সরকার পরিষ্কার করছে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভ্রান্তি মোচনে ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করা উচিত। অন্যথায়, বিভ্রান্তি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। যা উদ্বেগের বিষয় হবে।

ন্যাপের নেতৃদ্বয় বলেন, ভ্যাকসিনের মান, ব্যবস্থাপনা ও সরবরাহ নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের মনে বিশ্বাস রাখা খুব জরুরি। ভ্যাকসিন ইস্যু নিয়ে এরইমধ্যে বিশ্বে অনেক ধরনের পলিটিসাইজেশন হয়ে আছে। তাই দেশে ভ্যাকসিন নিয়ে কোনও বিতর্ক সৃষ্টি না হয়, এর জন্য সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।

তারা বলেন, কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন- ভারত সরকার দুই-আড়াই ডলারে পায়, তাহলে আমরা কেন পাঁচ ডলারে কিনব? এখানে বেক্সিমকোকে বাণিজ্যের সুযোগ দেয়া হয়েছে কি না? এই বিষয়গুলোও পরিষ্কার করার দায়িত্ব সরকারেরই।

কেএইচ/এসজে/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।