বাংলাদেশ সব ধর্মের মানুষের আবাসভূমি: বাংলাদেশ ন্যাপ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৫৮ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ধর্ম যার যার, বাংলাদেশ সবার- এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে জনগণ সব ধর্মীয় উৎসব একসঙ্গে পালন করেন। সবাই মিলে যুদ্ধ করে স্বাধীন করা বাংলাদেশ সবার।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

নেতৃদ্বয় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানান।

তারা বলেন, বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। সমাজে অন্যায়, অবিচার, অশুভ ও অসুরশক্তি দমনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ পূজা হয়ে থাকে। আবহমানকাল ধরে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নানা উপচার ও অনুষ্ঠানাদির মাধ্যমে দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছেন।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রেখে জাতীয় উন্নয়নে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে নেতৃদ্বয় আরও বলেন, দুর্গোৎসব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধনকে আরও সুসংহত করুক- এ কামনা করছি।

বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।

বাণীতে নেতৃদ্বয় আরও বলেন, যে কোনো ধর্মীয় উৎসবই মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচনা করে ও ভ্রাতৃত্ববোধকে জাগরিত করে। সব ধর্মের মর্মবাণী শান্তি ও মানব কল্যাণ। হিংসা-বিদ্বেষ, রক্তারক্তি পরিহার করে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হওয়া মানুষ হিসেবে আমাদের কর্তব্য। দুর্গাপূজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে হিংসা, লোভ ও ক্রোধরূপী অসুরের বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে ন্যায় ও সুবিচার নিশ্চিত হবে।

কেএইচ/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।