রংপুর সিটিতে ভরাডুবি

এক সপ্তাহের মধ্যে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে আ’লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:১৩ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২

রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর ভোটে ভরাডুবি নিয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বড় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

রংপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর ভরাডুবির কারণ জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। সেখানে নানা বিষয় থাকে। সেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এগিয়েও ছিল। আমাদের ভেতরে সমস্যাও ছিল। আমরা কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাইনি। কারণ, আমরা জানি জাতীয় পার্টি এগিয়ে ছিল। আমরা জোর করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করিনি, বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি।

তিনি বলেন, আমরা রংপুর সিটি নির্বাচনের বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। এক সপ্তাহের মধ্যে বড় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খেলা হবে জাতীয় নির্বাচনে। যা বলেছি ১১ বছরে তাই করেছি, রংপুর এরশাদ সাহেবের (জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি) প্রভাবিত। মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (জাতীয় পার্টির প্রার্থী) ব্যক্তিগতভাবে পপুলার। আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্বলতা যা আছে সেখানে ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রার্থী বাছাইয়ে সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল, আমরা জানি দুর্বল তারপরও নারী প্রার্থী দিয়েছি। হেরে যাওয়ার রিস্ক জেনেও অনেককে মনোনয়ন দিয়েছি। একটা নারীকে দিয়ে দেখলাম রিঅ্যাকশন কী। আওয়ামী লীগ এগোচ্ছে, আমরা নারীদের ক্ষমতায়নের চেষ্টা করছি। যে কোনো নির্বাচনে তাদের এগিয়ে নেওয়া চ্যালেঞ্জের। অনেক পুরুষ নেতা নারীদের মেনে নিতে চায় না। সে কারণে রংপুরে অনেকে এগিয়ে আসেনি।

তিনি বলেন, রসিক নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচনে ভুল হয়নি, এ নারীর (অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া) কোনো বদনাম নেই, তিনি প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী। মানুষ হিসেবেও তার সুনাম অনেক।

যে কোনো নির্বাচনে দল মনোনীত নারী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার মানসিকতা তৈরি করতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

গত মঙ্গলবার রসিক নির্বাচনে আবারও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তিনি এক লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার লতিফুর রহমান মিলন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৮৩ আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া পেয়েছেন ২২ হাজার ৩০৬ ভোট।

বিএনপির পূর্বঘোষিত ৩০ ডিসেম্বরের গণমিছিলের দিন আওয়ামী লীগ সতর্ক পাহারায় থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বরের মতো আমরা সারাদেশে সতর্ক পাহারায় থাকবো। ওইদিন যেমন ছিলাম একই অবস্থানে থাকবো। বিএনপি গণমিছিলের নামে সহিংসতা করবে। আমরা কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাবো? আমরা সতর্ক পাহারায় থাকবো।

দু-একদিনের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।

আইএইচআর/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।