‘তিন দেশ মিয়ানমারের পক্ষ নেওয়ায় রোহিঙ্গা সংকট সমাধান হচ্ছে না’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর প্রতিবেশী দেশ প্রীতির কারণে রোহিঙ্গার সংকট সমাধান হচ্ছে না। জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান নিয়ে কথা উঠলে চীন, ভারত ও রাশিয়া মিয়ানমারের পক্ষ অবলম্বন করে। যে কারণে বাংলাদেশ এ সংকট সমাধান করতে পারছে না।’
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। এ আলোচনা সভার আয়োজন করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জাতীয় কমিটি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ আজ বন্ধুশূন্য একটি দেশ। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বের দু-একটি মুসলিম দেশ ছাড়া কেউ সরাসরি বাংলাদেশকে সমর্থন করেনি। সেই দু-একটি রাষ্ট্রও তেমন ক্ষমতাধর নয়। ভারতের সীমান্তে কোন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়নি। অথচ এ সরকার (আওয়ামী লীগ) বলছে ভারত না চাইতেই আমরা সব দিয়েছি। এ সরকার যা কিছু করছে, তা প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে খুশি করার জন্য।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমরা এখনো স্বাধীন নই। যে দেশে গণতন্ত্র থাকে না, ভোটাধিকার থাকে না তাদের কাছ থেকে জনকল্যাণমূলক ও দেশের স্বার্থে কোনো কিছু আশা করা যায় না।
তিনি বলেন, উপযুক্ত সময়ে বাংলাদেশে অবস্থানরত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তখন তারা নিজেদের অধিকার নিজেরাই আদায় করতে পারবে। আজকে এ বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বারবার বলা হচ্ছে— জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিন। কিন্তু তারা ভ্রুক্ষেপ করছে না বরং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে কারচুপি করে আবার একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে। আর এ যুদ্ধের নেতৃত্ব দেবেন বিএনপি এবং তারেক রহমান। এ যুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র মুক্ত করা হবে। আমরা যে বীরের জাতি তা আবার প্রমাণ করতে হবে।
আলোচনা সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলামিস্ট কালাম ফয়েজী। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হারুনূর রশিদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত কাইয়ূম, জাসদের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এম জাবির, সাবেক ছাত্রনেতা নুরুর রহমান জামিল, সাইফুল ইসলাম শিশির প্রমুখ বক্তব্য দেন।
কেএইচ/এমএএইচ/এমএস
