মাহবুব হাসান-এর কবিতা
কবিতার ভেতরে শুয়ে আছি
কবিতার ভেতরে শুয়ে আছি,
কে যেন নাম ধরে ডাকলো!
নাম!!
আমার নাম?
কিসের নাম? আমি তো আমি, তার আবার নাম কি?
সে কি কোনো চিহ্ন? নাকি অচিহ্নিত, অদৃশ্য, নিরাকার কোনো কিছু?
কিন্তু কোথায় যেন গোলমাল হচ্ছে
আমার চিন্তার ভেতরে গুটিশুটি মেরে কে শুয়ে আছে?
আমি কি চিনি তাকে, দেখেছি কখনো?
তার রূপের বাখানি কি করেছি কবিতায়?
কার ছায়ার সাথী আমি?
কার মায়ার জালে জড়িয়ে পড়েছি আজ আমি এই পড়ন্ত জীবনে?
কোথায় যেন ভুল হচ্ছে,
বাজ ফাটার মতো সেই ভুল;
নখ-দাঁতহীন ভুল!!
তার কোনো মাথামুণ্ডু নেই,
ভুলগুলোর কোনো আকার নেই, নিরাকার!!
ঘুমের ভেতরে কবিতার বসবাস,
তার ভেতরে আমি শুয়ে-বসে কাটাই দিনরাত,
তার সাথে থাকে ছায়া সাথী, চিন্তার ভেতরে, ভাবনার মগডালে
সেলাই করে কে যেন আমার মগজ!
আমার ছেঁড়াখোঁড়া মগজের নালা-নর্দমায়, তার ভেতরের গলিঘুঁজিময় বিচিত্র
চিন্তার ফোকড়ে কে যেন উঁকি দেয়,
আমি ঝুঁকি নিয়ে পরখ করি,
গুণ গাই তার, গান করি তার নামে,
নামের কি মহিমা দেখো
নাম ছাড়া নিরাকারও শোনেন না কোনো কথা,
কোনো আবেদনও পৌঁছায় না তার অরূপ দরবারে,
মহি-কুয়াশায় জড়ানো ভোরের পেলব যেন লেপে রেখেছে কে
আমাদের মনের জানালায়, কপাটে, শার্শী আর পতপত উড়তে থাকা
আমাদের জাগতিক মনে।
কবিতার ভেতরে কাঁথা-মুড়ি
জ্বরে কাঁপা লেপ-কাঁথায় নকশী আঁকি মনে মনে;
কবিতার ভেতরে কে যেন আমাকে ডাকে
নাম ছাড়া।
পোমোনা, লস এঞ্জেলেস, যুক্তরাষ্ট্র
এইচআর/আরআইপি