যুদ্ধ থেকে বাবা ফিরে আসবেন কি না জানতাম না: আইনমন্ত্রী
জিয়াউর রহমান ‘মানুষ হত্যা’ করে আনন্দ পেতেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) শিল্পকলা একাডেমিতে মায়ের কান্না আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, মেজর জিয়া মানুষ হত্যা করে আনন্দ পেতেন। খুন করা তার একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। তিনি ছিলেন মানুষ রূপে জানোয়ারের মতো।
মন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার মধ্যদিয়ে জিয়ার সাহস বেড়ে গিয়েছিল। এরপর জেল হত্যা, ১৯৭৭ সালের সামরিক আদালতে হত্যা করা হয়। তিনি একের পর এক হত্যা করতেন। জিয়ার রক্তমাখা হাত থেকে কাছের মানুষও রেহাই পায়নি। এমনকি তার বন্ধু কর্নেল তাহেরকেও হত্যা করেন তিনি। অথচ সেই তাহের জিয়াকে বাঁচিয়ে ছিলেন একদিন। তার ঠিক সাতদিনের মাথায় তাহেরকে হত্যা করেন।
নিরপরাধ মানুষকে মারার পর তাদের সন্তান-পরিবারদেরও কষ্ট দেওয়া হয় উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, অনেকেই বাবার, স্বামীর লাশ পান নাই। আপনাদের মতো আমি ৭১ সালে অসহায় ছিলাম। যুদ্ধ থেকে আমার বাবা ফিরে আসবেন কি না জানতাম না। পাক বাহিনীর ভয়ে দিন কাটাতে হতো। পাক বাহিনী এলেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যেতে হতো।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মেজর জিয়া এটা করতেন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য। কারণ তিনি অবৈধভাবে ক্ষমতায় ছিলেন। তার পরিকল্পনা ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সরিয়ে দেওয়া। যাতে তাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে না হয়। আমি অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ জিয়ার কাছের মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। জিয়া ছিলেন ভয়ঙ্কর। একজন আসামি যিনি কর্নেল দিদার ছিলেন। তার মামলা আমার বাবা নিয়েছিলেন। দিদার সাহেব আমাদের বলেছিলেন যে, ‘জিয়া আমাকে দিয়ে অমুককে হত্যা করিয়েছেন। এখন তিনিই আর একজনকে দিয়ে আমাকে ফাঁসাতে চাচ্ছেন।’ এভাবেই জিয়া ঘৃণ্য অপকর্ম করতেন। জিয়া বলতেন অমুককে মারো। অন্যদের আবার বলতেন তুমিও তাকে মেরে দাও। এভাবেই নাটক করা হতো।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, শহীদ কর্নেল নাজমুল হুদার কন্যা নাহিদ ইজাহার খান প্রমুখ।
এনএইচ/জেডএইচ/এএসএম