একদিন গণতান্ত্রিক শক্তির বিজয় নিশ্চয় হবে: ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২৪

একদিন না একদিন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শক্তির বিজয় নিশ্চয় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।

তিনি বলেন, সেই দিন বাংলাদেশের গরিব মানুষ পেট ভরে খেতে পারবে। গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলতে পারবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের কথা বলতে পারবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন।

প্রতিবাদ সভায় জয়নুল আবেদিন ফারুক আরও বলেন, আজ এমন একটি দিন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছিল। সব সংবাদপত্র বন্ধ করে সব সরকারি-বেসরকারি মানুষকে এক দলে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জাতীয় সংসদে ১১ মিনিটে সংবিধান সংশোধন করে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। আমরা এই কালো দিবসে দাঁড়িয়ে আবারও মনে করিয়ে দিতে চাই, গত ৭ জানুয়ারি যে তামাশার নির্বাচন আপনারা (সরকার) মঞ্চস্থ করেছেন, দেশের জনগণ সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, বরং প্রত্যাখ্যান করেছে।

৭ জানুয়ারির নির্বাচন আবার পঁচাত্তর সালের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলার আকাশে আবারও কালো ছায়া দেখতে পাচ্ছি। বাংলার আকাশে আবারও একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করার আভাস মিলছে। তাই আজকে রাজপথে দাঁড়িয়ে আবারও সরকারকে মনে করিয়ে দিতে চাই, যে বাকশালকে আপনারা নিজ হাতে তৈরি করে আবার নিজ হাতে জবাই করে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে গিয়েছেন, আপনারা আবারও পুরানো ফন্দি এঁটে আবারও বাকশাল কায়েম করে সংবাদপত্র, মানুষের বাকস্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করার ষড়যন্ত্র করছেন।

বিএনপির নেতাকর্মীদের সরকার জেলে পাঠিয়েছে অভিযোগ করে এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাকে আপনারা (সরকার) মুক্তি দিচ্ছেন না। আপনারা মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা ও নির্বাহী কমিটির সদস্যদের রাতের অন্ধকারে গ্রেফতার করেছেন।

জয়নুল আবদিন বলেন, যে নির্বাচন কমিশন ঘুমিয়ে থাকে, ঘুম থেকে উঠে বলে ২৮ শতাংশ ভোট পড়েছে, সেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার এক ঘণ্টা পরে কীভাবে বলেন ৪২ শতাংশ মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এর উত্তর আপনাকে (সিইসি) এই বাংলার মাটিতে একদিন না একদিন দিতেই হবে। বিএনপিকে ধ্বংস করার হীন প্রচেষ্টা থেকে আপনাকে সরে আসতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গতকাল টিআইবি বলেছে, দেশের ৬৭ ভাগ সংসদ সদস্য কোটিপতি। এ টাকা কোথা থেকে আসে? যে ডিম প্রতি পিস তিন টাকা ছিল, তা এখন ১২ টাকা। যে মোটা চাল ৪৪ টাকা কেজি ছিল, তা এখন ৬৫ টাকা। এসব সিন্ডিকেট করে তারা টাকার পাহাড় বানিয়েছেন।

বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এম. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সহ-সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম, তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকী প্রমুখ।

আরএএস/এমকেআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।