পাওনা টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিন মালিককে মারধর ছাত্রলীগ নেতার

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৩৯ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আরাফাত হোসাইন অভি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সূর্যসেন হলের ক্যান্টিনে পাওনা টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিন মালিককে মারধর করেছেন বলে হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এসময় অকথ্য ভাষায় গালাগালের একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর দাড়ি ছিঁড়ে ফেলেন ওই ছাত্রলীগ নেতা।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম আরাফাত হোসাইন অভি। তিনি হলের ২৬৯ নম্বর রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী। এছাড়া সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। রাজনীতিতে তিনি ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটার দিকে সূর্যসেন হলের ক্যান্টিনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হল ক্যান্টিন মালিক ফাহিম হোসেন হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ক্যান্টিন মালিক ফাহিম হোসেন বলেন, অভি ভাই পরশু ক্যান্টিন থেকে খাবার নিয়ে যায়। তখন আমি তাকে আগের পাওনা টাকা দেওয়ার বিষয়ে বলি। তখন তিনি কিছু না বলে খাবার নিয়ে যান। সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) তিনি আর আসেনি। আজকে (১২ ফেব্রুয়ারি) যখন দুপুরে খাবার নিতে আসেন তখন আমি তাকে পাওনা টাকার ব্যাপারে বলি। পরে আজকের খাবারের টাকাও বাকি খাতায় লিখে রাখতে বললেন আমি ম্যানেজারকে দিয়ে লিখে রাখি।

তিনি বলেন, এর ঠিক দুই মিনিট পরেই তিনি আবার এসে আমাকে ক্যাশ কাউন্টার থেকে ডেকে নিয়ে কার সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হয় জিজ্ঞেস করেন। আমি বলি, ভাই আমি তো আপনার কাছে শুধু বাকি টাকা চেয়েছি, আর কিছু না। এসময় তিনি আমার দাড়ি ছিঁড়ে ফেলেন এবং আমাকে চড়, কিল, ঘুসি ও লাথি মারতে থাকেন। তার সঙ্গে অন্যরা তাকে আটকে রাখতে চেষ্টা করলেও পারেননি। তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই তিনি মারধর করেছেন। এ বিষয়ে প্রভোস্ট স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ করবো।

অভিযোগের বিষয়ে আরাফাত হোসাইন অভি বলেন, আমি দুপুরে খাবার খেতে গেলে ক্যান্টিন মালিক বকেয়া টাকা চান। তখন আমি বিকাশে টাকা তুলতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানাই। পরে আমি সেখান থেকে বের হওয়ার সময় তিনি ম্যানেজারকে বললেন আমাকে যেন নেক্সট টাইম খাবার না দেন। এটা শুনে আমি ক্যান্টিন মালিককে বললাম আপনি এটা কেমন কথা বললেন? একজনের সমস্যা তো থাকতেই পারে। এরপর হঠাৎ করে তিনি আমাকে ধাক্কা মারেন, আমিও তার কলার টেঁনে ধরি। তারপর ধাক্কাধাক্কির মধ্যে তার দাঁড়িতে আমার হাত লেগে ছিঁড়ে যায়। কিন্তু আমি তাকে মারধর করিনি।

এ বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আমি ঘটনা শুনেছি। আমরা এসব বিষয়ে কাউকে কোনো ছাড় দেবো না। সে যত বড় নেতাই হোক সেটা দেখার বিষয় না। আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।

এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়াকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এনএস/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।