রিজভী

জনগণের পকেট কাটার কৌশল হিসেবে পানির দাম বৃদ্ধির তোড়জোড়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:০৫ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সরকার আবারও ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, দ্রুত পানির দাম বাড়ানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। জনগণের পকেট কাটার আরেকটি কৌশল নিয়েছে দখলদার সরকার। ঢাকা ওয়াসা লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরও অন্যায়ভাবে পানির মূল্যবৃদ্ধির আয়োজন চলছে। দেশের শহরগুলোতে প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বড় শহরগুলোতে সুপেয় পানির বড়ই সংকট। সেক্ষেত্রে অযৌক্তিকভাবে ওয়াসার পানির দাম বাড়ানো হলে নাগরিক জীবনে আরেকটি নতুন সংকট তৈরি হবে।

তিনি বলেন, সরকার জনগণের বাঁচা-মরাকে পাত্তা দেয়না। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের রক্ত চুষে নিতেই এরা তৎপর। সারাদেশে গ্যাসের তীব্র সংকট থাকলেও এরই মধ্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। দখলদার সরকারের নীতিই হচ্ছে গরিব মানুষের পকেট কাটা।

আরও পড়ুন>> পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়নি: ওয়াসার ডিএমডি

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বিরোধীদের ওপর বুলডোজার চালানোর পর নজিরবিহীন উদ্ভট ‘ডামি’ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে চালু হয়েছে এক ব্যক্তির নিরঙ্কুশ শাসনব্যবস্থা। গোটা বাংলাদেশ এখন তার হাতে জিম্মি হয়ে গেছে। সর্বত্রই বিরাজ করছে এক ভয়াবহ বিভীষিকা।

তিনি বলেন, গত ১৬ বছর ধরে দেশের মানুষ গণতন্ত্র নয়, স্বৈরাচারের নিষ্ঠুর সাজা ভোগ করছে। ভোটাধিকার বঞ্চিত হওয়ার যন্ত্রণা ভোগ করছে। ক্ষুধার জ্বালায় চোখের পানিতে ভাসছে। নিপীড়ন উপভোগ করতে করতে মানুষের পিঠ এখন দেয়ালে ঠেকে গেছে। মানুষের ভাষাও হারিয়ে গেছে। অসহিষ্ণুতা, সীমাহীন লোভ আর উদ্ধত রাষ্ট্রশক্তিকে আশ্রয় করে সর্বত্রই ফ্যাসিবাদের বিকৃত হিংস্র রূপ প্রকট হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে সীমানায় শুধুই অশান্তির আগুন।

এসময় তিনি সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা এবং গ্রেফতারের বর্ণনা তুলে ধরেন।

কেএইচ/ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।