কোনো দল চিরস্থায়ী থাকে না: শাহজাহান ওমর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৯ পিএম, ০৩ মার্চ ২০২৪

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর বলেন, কোনো দল চিরস্থায়ী থাকে না। রাজনীতিতে একটা আনন্দ আছে, সব সময় জেতার ভেতরে কোনো আনন্দ নাই। কখনও জিতবে, কখনও হারবে, আবার জিতবে আবার হারবে।

রোববার (৩ মার্চ) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শাহজাহান ওমর বলেন, আমাদের এখানে রাজনৈতিক দল বিশেষ করে আমার দল ১৯৫৮ সালে ক্ষমতা হারিয়েছে, ’৭৫ সালে হারিয়েছে আবার ২০০১ সালে হারিয়েছে আল্টিমেন্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। টানা চতুর্থবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তার দল ক্ষমতায় এসেছে এজন্য তিনি কৃতিত্বের দাবিদার। কোনো দেশ এবং জাতি যেমন প্রাকৃতিক সম্পদ, অর্থ সম্পদ থাকলেই উন্নতি লাভ করতে পারে না। এজন্য একটি সর্বজন স্বীকৃতি রাষ্ট্রীয় পলিসি দরকার।

তিনি বলেন, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার বলেছিলেন, ‘রাশিয়ায় আছে তেল, গ্যাস, আয়রণ কিংবা গোল্ড সবকিছু কিন্তু রাশিয়ার অর্থনীতি মোস্ট লোয়ার দ্যান অব ক্লোজ নেইভার্স।’ আমরা অতদূর যাবো না আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ বার্মা, বার্মা আমাদের সাইজে ৫ গুণ। জনসংখ্যা তিনভাগের এক ভাগ, তাদের মাথাপিছু আয় ১২শ’ আমাদের মাথা পিছু আয় ২৮শ’ ডলার।

‘এটার কারণ পলিসি, বার্মায় পলিসি নাই, মিলিটারি ক্ষমতা দখল করে, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে চলতে দেওয়া হয় না। ফল কি দারিদ্র্য বার্মা। আর এই দেশে আমাদের গণতন্ত্র আমাদের মতো, আমাদের গণতন্ত্র ওয়েস্ট মিনিস্টার টাইপ হবে না, আমাদের গণতন্ত্র আমেরিকার মতো হবে যেখানে ইলেকট্ররাল কলেজের ২৭৩টা ভোট পেলেই হবে।’

তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্র ফ্রান্সের মতো হবে না যেখানে ৫১ ভাগ ভোট পেতে হবে, আমাদের গণতন্ত্র নর্থ কোরিয়ার মতো হবে না ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব নর্থ কোরিয়া যেখানে ডেমোক্রেসির ড উপস্থিত নাই এক দলীয় শাসন। আমাদের গণতন্ত্র আমরা যে ধরনের মানুষ, সংস্কৃতি, সমাজ, শিক্ষা দীক্ষা সে অনুযায়ীই আমাদেরও গণতন্ত্র প্রযোজ্য।

‘আমরা যদি আমেরিকা, জাপান, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানির উদাহরণ দেই আমরা তো ইংলিশ না, ব্রিটিশ না আমাদের গণতন্ত্র আমাদের মতো হতে হবে। আমাদের গণতন্ত্র চলমান কি না, এই গণতন্ত্রই একদিন আস্তে আস্তে আমরা হয়তো গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পৌঁছে যাবো যে সমগ্র পৃথিবী আমাদের ধন্যবাদ জানাবে।’

সরকারদলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, আমাদের রেমিট্যান্স আরও বাড়ানো যায় যদি মধ্যপ্রাচ্যে যারা যায় তারা আরবি বলা শিখে যায় তাহলে অবশ্যই বেশি বেতনে চাকরি পাবে। এই শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন যারা ইংলিশ জানে যার জন্য তারা বিদেশে ভালো ভালো চাকরি পায়। এই দেখেন ভারত আজকে বিশ্বব্যাংক বলেন আইএমএফ বলেন এশিয়ান ব্যাংক বলেন হু বলেন ইউনেস্ক বলেন যত বড় বড় প্রতিষ্ঠান সব জায়গা ভারতীয় কারণ তারা ভাষা শিখেছে, ইংরেজি শিখেছে, আমরা ইংরেজি শিখি নাই।

আইএইচআর/এমআরএম/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।