খালেদা জিয়ার ঈদ এবার ফিরোজাতেই সীমাবদ্ধ!

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪২ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২৪
ফাইল ছবি

দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর চার ঈদ কারাগারে উদযাপন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর এক ঈদে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং আরেকটি এভারকেয়ার হাসপাতালে। বাকি ঈদগুলো তিনি তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজাতেই উদযাপন করেছেন।

সেই ধারাবাহিকতায় এবারও তিনি তার বাসায় ঈদ উদযাপন করবেন। খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৬ জুন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এছাড়াও বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যদের অধিকাংশই ঢাকায় ঈদ করবেন।

বুধবার (১০ এপ্রিল) বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জাগো নিউজকে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এবারের ঈদে তার বাসায় থাকবেন। সন্ধ্যার পরে মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা ম্যাডামের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

তিনি বলেন, আমরা যারা চেয়ারপারসনের সঙ্গে কাজ করছি তাদের আবেগ-অনুভূতি আর দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীর আবেগ-অনুভূতির কোনো তফাত নেই। প্রতি মুহূর্তে চেয়ারপারসনের ছায়া অনুভব করি।

শায়রুল আরও জানান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান এবং বেগম সেলিমা রহমান ঢাকায় ঈদ উদযাপন করবেন।

এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান নরসিংদী এবং আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রামে তার নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করবেন।

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নেতারা কে কোথায় ঈদ করবেন

স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং সালাউদ্দিন আহমেদ বিদেশে রয়েছেন। ঈদের দিন সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন বিএনপি মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটি সদস্য সিনিয়র নেতা ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা।

এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ২০০৮ সাল থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যুক্তরাজ্যে ঈদ করেছেন। এবার যুক্তরাজ্যে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করার কথা রয়েছে। এদিকে দলটির অনেক কেন্দ্রীয় নেতা তার নিজ নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন।

বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু জাগো নিউজকে বলেন, সরকারের দুঃশাসন, দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি মানুষের ঈদের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে। তারপরও ঈদ উদযাপনের জন্য এলাকায় এসেছি। নিজের সক্ষমতা অনুযায়ী ঈদের আনন্দ পরিবার আত্মীয়-স্বজন এলাকার সঙ্গে ভাগাভাগি করার চেষ্টা করছি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা অতীব জরুরি। অথচ হিংসাশ্রয়ী সরকার গায়ের জোরে গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রীকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না। এই ঈদও পরিবার ছাড়া বন্দি অবস্থায় তাকে উদযাপন করতে হবে।

তিনি বলেন, লুটপাট ও মহাদুর্নীতির কারণে কেড়ে নিয়েছে ঈদুল ফিতরের আনন্দ। সরকারের রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি হরিলুট আর দুর্নীতির কারণেই মানুষের শেষ হাসিটুকুও বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ঈদে আনন্দ উদযাপনের বিপরীতে মুখ লুকিয়ে কাঁদছে মধ্যবিত্ত মানুষ।

কেএইচ/এমআরএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।