১০ এপ্রিল প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণার দাবি জেএসডির

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৩৭ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের আলোকে ১০ এপ্রিল প্রজাতন্ত্র দিবস বা রিপাবলিক ডে ঘোষণার দাবি জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ দাবি জানানো হয়েছে বলে বলছে দলটি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এই দাবি জানায় জেএসডি।

দলটির সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাষানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৫২ বছর ধরে ক্রমাগত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে রাষ্ট্রকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি, মুক্তি সংগ্রাম ছিল জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য। আওয়ামী লীগ দলীয় স্বার্থে ১৯৭২ সাল থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উপেক্ষা করে এসেছে। ফলে এখন বাংলাদেশকে আর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না। রাষ্ট্র এখন ব্যক্তি এবং একটি দলের ইচ্ছাধীন হয়ে পড়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জনগণ থেকে রাষ্ট্রকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ক্ষমতার সর্বগ্রাসী মোহ আওয়ামী লীগকে খেয়ে ফেলেছে। এই ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্রব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়েছে। দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

এসময় তিনি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকে কেন্দ্র করে ৬ দফা দাবি পেশ করেন। সেগুলো হলো-

১. ১০ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস বা রিপাবলিক ডে ঘোষণা।
২. স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের ত্রয়ী আদর্শের আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক নীতি প্রণয়ন।
৩. বাহাত্তরের অকার্যকর সংবিধানের আমূল পরিবর্তন ও স্বাধীন দেশের উপযোগী সংবিধান প্রবর্তনে গণভোটের আয়োজন।
৪. রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সব সমাজশক্তির রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণের সাংবিধানিক অধিকার প্রদান তথা অংশীদারত্বের গণতন্ত্র কায়েম।
৫. এককেন্দ্রিক ক্ষমতার পরিবর্তে ফেডারেল সরকার, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ও প্রদেশ গঠন। এবং
৬. স্বশাসিত স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন।

আরএএস/কেএসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।