জাপানে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস উদযাপন

জাপানের রাজধানী টোকিওতে উদযাপিত হলো বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টোকিওর একটি হোটেলে যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ও ভারতের হাইকমিশন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার হোন্ডা তারো। এসময় জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ ও ভারতের রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় কুমার ভার্মা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে স্বাগত জানান।
জাপানের সংসদ সদস্য, টোকিওর বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও প্রধান, জাপানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ ও ভারতের জাপান প্রবাসীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ, ভারত ও জাপানের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয় এবং ১৯৭১ সালে শহীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
দু’দেশের সরকার ও জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে হোন্ডা তারো বলেন, ঐতিহাসিকভাবেই জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান, যা সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ায় সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করছি দু’দেশের সঙ্গে সহযোগিতার এ সম্পর্ক দিন দিন আরও সম্প্রসারিত হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, ৩০ লাখ শহীদ, সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ মা-বোন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও জাতীয় চার নেতাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ সাধারণ নাগরিক যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রইল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের সোনালি অধ্যায় রচিত হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে দু ‘দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিদ্যমান এবং আগামীতেও পারস্পরিক শান্তি, উন্নতি ও অগ্রগতির পথে সহযোগিতার এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
ভারতের রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় কুমার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। তিনি বাংলাদেশ স্বাধীন করতে দু’দেশের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে দু’দেশের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এমএএইচ/জেআইএম