তুরস্কে বাংলাদেশ দূতাবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১৫ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০২২

নানা আয়াজনে তুরস্কের আঙ্কারায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (২১ নভেম্বর) আঙ্কারার হিলটন এসএ হোটেলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণায়ের টেকনিক্যাল সার্ভিসেস জেনারেল ডিরেক্টর মেজর জেনারেল হোসেইন ডোমান। তিনি সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের সামরিক সম্পর্কের নানা দিক করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অগ্রযাত্রায় তুরস্কের সামরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয় ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ ও তুরস্কের জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাশেদ ইকবাল সূচনা বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ করেন। এসময় তিনি দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বরণ করেন।

তুরস্কে বাংলাদেশ দূতাবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন

তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত শাহনাজ গাজী বাংলাদেশ-তুরস্কের দ্বি-পাক্ষিক এবং সামরিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বাংলাদেশের গৌরবজ্জ্বল স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং স্বাধীন দেশের অভ্যুদয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অতুলনীয় অবদান আলোকপাত করেন।

তিনি ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর আওতায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন। এছাড়া তিনি বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান দ্বি-পাক্ষিক সামরিক গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এসময় তিনি ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশ তুরস্ক ও বাংলাদেশের সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত শাহনাজ গাজী, তুরস্কে কর্মরত বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, তুরস্ক সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কূটনৈতিক কোরের সদস্য, প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদসহ বাংলাদেশ দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। পরে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে কেক কাটা হয় এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।

এমএমএ/ইএ/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]