‘ব্যাংকে টাকা নেই’ অপপ্রচারে কান না দেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রদূতের

গ্রিসপ্রবাসী জসিম উদ্দিন কাজ করেন একটি মিনি মার্কেটে। প্রতি মাসের ৫ তারিখে বেতন পেয়ে রেমিট্যান্স পাঠান দেশে। দেশে থাকা পরিবারের সদস্যরা খরচ বাবদ প্রয়োজন মতো টাকা উত্তোলন করে জসিমের পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থের একাংশ আমানত হিসেবে জমা রেখে দেন ব্যাংকে। কিন্তু চলতি মাসে বেতন পেয়েও টাকা পাঠাননি জসিম। যেন তার মধ্যে এক অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে!
জসিম উদ্দিন বলেন, আমি ফেসবুকে/ইউটিউবে বিভিন্ন সংবাদ দেখেছি বাংলাদেশে ব্যাংকে টাকা নেই। ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। পরে আমি আমার জমা টাকা পুরোটা ফেরত নাও পেতে পারি। এখন আমি কি করব সিদ্ধান্তহীনতায় আছি। তাই এ মাসে বেতন পেয়েও টাকা দেশে পাঠাইনি।
শুধু জসিম উদ্দিনই নয়, এমন অপপ্রচারে আতঙ্কে আছেন বিভিন্ন দেশে থাকা বহু প্রবাসী বাংলাদেশি। যাদের অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া টাকা পাঠাচ্ছেন না দেশে। ব্যাংকে যাদের টাকা জমা আছে তারা নানা দুশ্চিন্তায় আছেন। অনেকেই দেশে যাচ্ছেন।
মানি ট্রান্সফার এজেন্সিতেও অন্যান্য মাসের মতো ভিড় দেখা যায় না। কেউ কেউ পরিবারের খরচের জন্য টাকা পাঠাচ্ছেন বিকাশে। তবে এসব গুজবের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও দূতাবাসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গ্রিস-বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশেই বর্তমান পরিস্থিতিতে উৎকণ্ঠায় আছে। এরই মাঝে একটি মহল রাজনৈতিক কারণে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অপপ্রচারে গ্রিসে অনেক বাংলাদেশিই আতঙ্কিত হচ্ছেন। গুজবে কান না দিয়ে বৈধপথে রেমিট্যাস পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার আহ্বান জানান আব্দুল কুদ্দুছ।
এ বিষয়ে গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ বলেন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি কুচক্রি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে যে বাংলাদেশে টাকা নেই। অপপ্রচারকারীরা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার জন্য জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে প্রবাসীদের। ব্যাংকে টাকা নেই, এটা বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ। এসব অপপ্রচারে যেন কোনো প্রবাসীরা কান না দেন এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার অনুরোধ জানান রাষ্ট্রদূত।
এমআরএম/জেআইএম