সোশ্যাল মিডিয়া

কেড়ে নিয়েছে আবেগ, সুযোগ দিয়েছে একঝাঁক বুনো হাঁসকে দেখার

রহমান মৃধা
রহমান মৃধা রহমান মৃধা
প্রকাশিত: ০৯:২১ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সোশ্যাল মিডিয়া কেড়ে নিয়েছে সেই ছোটবেলার আড্ডাখানা, নিঃসঙ্গতা, ভালোবাসা। বিনিময়ে সুযোগ করে দিয়েছে একঝাঁক বুনো হাঁসকে দেখার, দিয়েছে আমাদের ব্যস্ত করে, দিয়েছে কাছের মানুষকে দূরে সরিয়ে আর টেনে এনেছে দূরের জিনিসকে কাছে। খেতে, বসতে, শুতে এমনকি রাত জেগে সবাই সময় দিচ্ছি এই সোশ্যাল মিডিয়ায়।

সবাই বলছিও তরুণ প্রজন্মের উল্লেখযোগ্য একটি সময়, সুন্দর ভবিষ্যৎ হত্যার পাশাপাশি নিজেদের নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। তাছাড়া এসব সাইটে অনৈতিক বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ, ফটো, অশ্লীল পেজ ইত্যাদিতে যুক্ত হয়ে চরিত্রকে নষ্ট করে দিচ্ছে। অনেকে ম্যাসেজিং, চ্যাটিংয়ে রাত কাটিয়ে একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে ইত্যাদি।

মনে পড়ে গেলো ইয়ান ফ্লেমিং-এর কল্পনামূলক ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট জেমস বন্ডের একটি স্লোগান ‘Shaken not stirred’ ঝাকাও কিন্তু নেড়ো না। জেমস বন্ডের মার্টিনি ড্রিঙ্ক তৈরি করতে বরফ যুক্ত করতে হবে যাতে করে ড্রিঙ্কটি ঠান্ডা হয় তবে নাড়ানো যাবে না কারণ নাড়ালে স্বাদ কমে যাবে।

এমনটি হয়েছে বর্তমানে। দেখা যাবে, কল্পনায় অনুভব করা যাবে, তবে ধরা বা ছোঁয়া যাবে না। যার কারণে আমরা অতি কাছের মানুষগুলো থেকে দিন দিন আড়ালে এবং দূরে সরে যাচ্ছি। বারবার মনে হয় এই বুঝি দূর থেকে কেউ আমার হৃদয়ের দ্বারে এসে মধুর স্বপ্ন ভেঙ্গে বলছে ‘কেন দূরে থাকো, শুধু আড়াল রাখো, কে তুমি কে তুমি আমায় ডাকো!’

আমি আবেগপ্রবণ হয়ে উপরে আবেগের ওপর কিছু বর্ণনা দিয়েছি, সোশ্যাল মিডিয়াকে একটু দোষী করেছি। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে এখন আর সেই আগের মতো ছোটবেলা এক জায়গায় বসে আড্ডা মারা, গসিপ করা, নদীতে সাঁতার কাটা, বিলে মাছ ধরা, বিকেল হলে খেলাধুলা করা হয় না।

এসব এখন বন্ধ হয়েছে, শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার রাজ্য। যে রাজ্যের রাজা আমরা নিজেরা। কার সঙ্গে কী করব বা না করব এসব সিদ্ধান্ত নিই আমরা। আমরা এখন সবাই রাজা আমাদের নিজ নিজ রাজত্বে। তবে বাস্তবে ভেবেছেন কি এই সোশাল মিডিয়ার কারণে আমরা আমাদের অতীতের মতো জীবন নতুন প্রজন্মদের দিতে পারছি না?

ভেবেছেন কী আমরা নিজেরাও প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে শতভাগ অ্যাডজাস্ট করে চলতে পারছি না। সেক্ষেত্রে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পুরনোদের একটি সাংস্কৃতিক সংঘর্ষ হচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে আমরা স্বপ্ন এবং কল্পনায় অনেক কিছু করতে এবং ভাবতে শিখেছি। কারণ আমাদের কাছের মানুষকে আমরা দূরে সরিয়ে দিয়েছি। তাদের সঙ্গে এখন আর আগের মতো কথা হয় না। সোশ্যাল মিডিয়া যেমন টুইটার, স্ন্যাপচ্যাট, ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকের মাধ্যমে টেক্সট করলে সেই কাছের মানুষগুলোর সাড়া দ্রুততার সঙ্গে পেয়ে যাচ্ছে।

তাহলে সমস্যা কোথায়? মানুষ অভ্যাসের দাস, তাই সবই অ্যাডজাস্ট হয়ে যাচ্ছে, যাবে। তাছাড়া তরুণ প্রজন্মের জন্য সব কিছু নতুন, তারা যেটা দেখে অভ্যস্ত সেটাই শিখছে। যেমন ডিজিটাল যুগে সবকিছু যেভাবে হচ্ছে সারা বিশ্বে এখন যদি বাংলাদেশ ভিন্নভাবে কিছু করতে বা বলতে চায় তা তো সম্ভব হবে না।

সেক্ষেত্রে বরং উচিত হবে ঢেউয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শুরু থেকেই অ্যাডজাস্ট হতে চেষ্টা করা, নইলে সারাজীবন পিছে পড়েই থাকতে হবে। আর একবার পিছে পড়লে সেখান থেকে ওঠা বড্ড কঠিন হবে। মাঝখানে হাহুতাশের সঙ্গে বাকি জীবনটা কেটে যাবে।
সেই পুরনো দিনের মতো ‘কফি হাউজের সেই আড্ডাখানা আর নেই’। অনেক কিছুই নতুনভাবে শুরু হয়েছে বর্তমানে এই প্রযুক্তির কারণে। যেমন এখন বেশির ভাগ লোকই লিখতে পারে, পড়তে পারে, যা অতীতে সম্ভব হয়নি। কারণ মোটিভেশনের অভাব ছিল, তার পর পৃথিবীতে সুযোগ সুবিধার সীমাবদ্ধতা যার যার গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ ছিল, এখন তা আর নেই।

এখন কি সম্ভব ছেলে-মেয়েকে বলা যে দরকার নেই লেখাপড়া করা? সম্ভব নয়। তাই স্রোতের গতিতে নতুন প্রজন্মদের সুশিক্ষার মধ্য দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। জানতে হবে সুশিক্ষা কী? আর তা জানতে হলে শিখতে হবে। সুশিক্ষা বলতে আমি শুধু পুঁথিগত শিক্ষাকে বলব না। কারণ পুঁথিগত শিক্ষায় সৃজনশীলতার অভাব রয়েছে।

একইসঙ্গে যাদের তেমন কোনো শিক্ষাই নেই তারা সমাজের এক কোণায় পড়ে নির্যাতিত এবং নিপীড়িত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার সঙ্গে সৃজনশীলতার সমন্বয় ঘটাতে হবে। ‘তাদের পথে, যাদের আপনি অনুগ্রহ করেছেন, এবং তাদের পথে নয় যারা আপনার ক্রোধের শিকার ও পথভ্রষ্ট, আমীন-- (সূরা আল ফাতিহা, আয়াত নাম্বার ৭)।’

এখন সমাজে যারা শিক্ষিত বা অনেক লেখাপড়া করেছে, টাকা পয়সা এবং মান-সম্মানে তারা সমাজের একটি বড় জায়গা দখল করে নিয়েছে। সবাই তাদের বড় মাপের গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসেবে দেখছে, তার অর্থ এই নয় যে তাদেরই অনুকরণ বা অনুসরণ করতে হবে।
যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা দেখব ব্যক্তির ব্যক্তিত্বে সৃজনশীলতার অভাব রয়েছে, মনুষ্যত্বের অবক্ষয় ঘটেছে, চরিত্রের অধঃপতন দেখা দিয়েছে, দিক নির্দেশনায় আলোর পথ থেকে সরে পথভ্রষ্ট হয়েছে, ততক্ষণ এসব ভণ্ডদের থেকে দূরে থাকতে হবে এবং সেই সঙ্গে পুঁথিগত বিদ্যা ছাড়াও সৃজনশীলতার উপর শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

তবে যা থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছে সেটা হলো ফেস ট্যু ফেস ইন্টার্যাকশন ইন বিটুইন টিচার অ্যান্ড স্টুডেন্টস। এখন অনলাইনে লেখাপড়া কতটুকু হচ্ছে শুধু সেটা বিচার করলে হবে না। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাও ভেবে দেখা বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। ক্লাস করার নাম নিয়ে অনেকে সারাদিন অনলাইন ঘাটছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বজনদের বিচ্ছিন্নতাও বাড়ছে।

অনেকেই কঠিন মানসিক ও শারীরিক অবসাদে ভুগছে, উদ্বিগ্ন থাকছে, একাগ্র মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছে। অনলাইনে ক্লাস করাটা অনেকের কাছে ভীতির ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, বাড়ছে মানসিক সংকট এবং অনেকে হয়ে পড়ছে আতঙ্কগ্রস্ত। এর ফলে অত্যধিক মানসিক ও শারীরিক চাপ আর অবসাদ সৃষ্টি হচ্ছে, যা শিক্ষার মূল প্রকৃতি, প্রেষণা ও উদ্যোগকে ব্যাপকভাবে ব্যহত করছে।

করোনা মহামারির সময় দীর্ঘদিন ধরে প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা চালু রাখার কারণে মানসিক ও শিখন-সমস্যারও দেখা দিয়েছে। এতে করে পারিবারিক সম্পর্কের ভারসাম্য বিরাট বিপর্যয়ের মুখে ছিল। সর্বোপরি অকাল বয়স্ক শিক্ষার্থীরা ঝুঁকে পড়ছে সাইবার সেক্সচুয়ালের দিকে। একই সাথে প্রতিনিয়তই উন্নতমানের প্রযুক্তির চাপ বেড়ে চলেছে।

যেমন সুইডেনের কথা ধরা যাক। এখানে আমরা এমন দুনিয়ায় বসবাস করছি যেখানে কী করি, কী পড়ি, কাকে ভালোবাসি, এমনকি কীভাবে ভালোবাসি, কখন কোথায় যাই, কার সঙ্গে যাই সবকিছুর ওপরে নজর রাখা সম্ভব। যখন যা করছি, বলছি —কম্পিউটার, মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে তা মনিটর করা খুবই সহজ। ফেসবুক, টুইটার, গুগল ম্যাপ, জিপিএস তো আমাদের অনুসরণ করে, বিশ্লেষণ করে, আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে।

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির ছবি দেখা যায়, স্যাটেলাইট থেকে কোন বাড়িতে কে ঢুকছে, কে বেরুচ্ছে সবই দেখা যাচ্ছে। তারপর রয়েছে আমাদের চারদিকে সিসিটিভি যা সহজ উপায়ে ক্রেডিট কার্ডের কোড নকল করে টাকা তুলে নিচ্ছে। এসব এখন শুধু সুইডেনে নয় বাংলাদেশেও সম্ভব। উল্লিখিত বিষয়গুলো শারীরিক ও মানসিক অশান্তি বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। তাহলে সমাধান কী?

গত দীর্ঘ ৪০ বছর কঠিন পরিশ্রম, ডেডিকেশন, ইনভেস্টিগেশন, মোটিভেশন এবং ইনোভেশনের বিনিময়ে মানবজাতি পেয়েছে প্রযুক্তির এই ব্যবহার। যার ফলে সম্ভব হয়েছে করোনা মহামারির সময় অনেক কিছু ম্যানেজ করে চলতে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে রোগ জীবাণুরও আবির্ভাব ঘটে যা সত্যি বিস্ময়কর। কারণ করোনা মহামারি ৪০ বছর আগে পৃথিবীতে আসেনি, এসেছে প্রযুক্তির যুগে।

বর্তমানে প্রযুক্তির কারণে যে সুযোগ-সুবিধা আমরা পেয়েছি তার চেয়েও শতগুণ বেশি সুযোগ পেতে পারি যদি আমরা এখন এর সঠিক ব্যবহার করি। যেমন সিস্টেম ইন প্লেস তার মধ্যে অন্যতম। সে আবার কী? শত শত উদাহরণ দিতে পারবো এর ওপর। যেমন ক্যাশ টাকার ব্যবহার না করে অনলাইন পে সিস্টেম চালু করা। প্রত্যেক নাগরিকের জন্মনিবন্ধনকে সিস্টেমাইজ করে নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া।

গণতন্ত্রের বেস্ট প্র্যাকটিস এবং নাগরিকের মৌলিক অধিকারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা। ট্যাক্স পদ্ধতির আধুনিকায়ন করা। রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা সুসংহত করা। প্রশাসনের দায়িত্ব এবং কর্তব্যের ফলোআপ করা থেকে শুরু করে সমাজের সমস্ত পরিকাঠামোর তদারক করা যা দিতে পারে একটি দুর্নীতিমুক্ত, কলুষমুক্ত ও দুষণমুক্ত সমাজ, দেশ ও বিশ্ব।

সমাজে যারা মাদকাসক্ত তারা শুধু মদ খায় কিন্তু যারা দুর্নীতি করে বা ঘুস খায় তারা কিন্তু সবই খায়। কারণ দুর্নীতির টাকা কখনও হালাল হতে পারে না। আর সে টাকা দিয়ে মদের পরিবর্তে যদি দুধও কেনা হয় তাহলে সে দুধের সঙ্গে মদের কোনো নৈতিক তফাৎ আছে বলে আমি মনে করি না। যদি প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দুর্নীতি দমন করা যায় তবে হালাল অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে হালাল খাবার খাওয়া সম্ভব।

আমি মনে করি শত শত সমস্যার সমাধান না করে শুধু দুর্নীতির সমাধান যদি করা যায় তবে শত শত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমরা যেমন গাড়ি চালানোর সময় প্রতিটি কম্পোনেন্টের দিকে নজর দেই না। নজর থাকে শুধু গাড়ির গতির দিকে, হঠাৎ গাড়িতে সমস্যা দেখা দিলে ডিসপ্লেতে সেটা দেখা যায়। আর সঙ্গে সঙ্গে আমরা সমাধান করি সমস্যার। এটা সম্ভব কারণ গাড়িতে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করে সিস্টেম ইন প্লেস চালু করা আছে।

এখন প্রযুক্তির সর্বাঙ্গীন ব্যবহার করে সমাজ, দেশ এবং বিশ্বের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হবে। সেক্ষেত্রে শুধু প্রযুক্তির ওপর অ্যাট্রাকশন বাড়ালে হবে না; নিশ্চিত করতে হবে মানবজাতির ইন্টার্যাকশন। অ্যাট্রাকশন এবং ইন্টার্যাকশনের সমন্বয়ে যে সমাজ গড়ে উঠবে সেটা হবে রোল মডেল ফর দি কোয়ালিটি লাইফ। দি সুনার দ্য বেটার।

সৃজনশীলতার ওপর শিক্ষা পেতে হলে নিজেকে সৎ, সুন্দর, চরিত্রবান এবং আদর্শবান হতে শিখতে হবে। তবেই হবে সুশিক্ষা। অতএব আমরা যেন সেই সুশিক্ষা গ্রহণ করতে পারি যে শিক্ষায় রয়েছে পুঁথিগত এবং সৃজনশীল শিক্ষার সমন্বয়। কথাগুলো বলতেন তিনি আমাদের। তিনি অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন স্বত্ত্বেও সপ্তম শ্রেণির পর তার লেখাপড়া করার সুযোগ হয়নি তখন।

তার স্বপ্ন ছিল কেউ যেন শিক্ষার আলো থেকে ঝরে না পড়ে। তিনি তার স্বামীর সাহায্যে সব ছেলেমেয়েকে সমান সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন সৃজনশীল শিক্ষা পেতে। তিনি অনুপ্রাণিত এবং উৎসাহিত করেছেন প্রতিবেশীর সন্তানদের এবং প্রথম বাংলাদেশ নামের এই দেশটিতে উপহার দিয়েছিলেন নাইট স্কুল গ্রামের মহিলাদের জন্য তার নিজের বাড়িতে।

গ্রামের নারীদের মধ্যে জ্ঞানের আলো দিতে তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। ১৯৩৭ সালে বাংলার মাটিতে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি- আমাদের মা আলহাজ্ব হুরজাহান মৃধা। আমাদের মায়ের কাছে আমাদের অঙ্গীকার, তার স্বপ্নের সোনার বাংলায় সুশিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া। আমি আমার বাবা-মার আদর্শ বুকে নিয়ে কাজ করে যাব সোনার বাংলা গড়তে। আমার মা ঘুমিয়ে আছেন সুইডেনের লিনসোপিং-এ; যেখানে আমার বড় ভাই প্রফেসর ড. মান্নান মৃধা এবং আমি লেখাপড়া করেছি। নতুন প্রজন্মের কাছে এতটুকু প্রত্যাশা তোমরাও মন দিয়ে পড়ালেখা করবে, শুধু গবেষণা নয় অনুসন্ধানও করবে, মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশ ও মানুষের সেবা করবে।

রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন। [email protected]

এমআরএম/এএসএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]