মিশরে ফিলিস্তিনি শিশুদের নিয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঈদ উদযাপন

আফছার হোসাইন
আফছার হোসাইন আফছার হোসাইন কায়রো- মিশর-থেকে
প্রকাশিত: ০৯:১২ পিএম, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

মিশরের রাজধানী কায়রোর হাদিকাতুদ দাওলিয়ায় (আন্তর্জাতিক উদ্যান) বাংলাদেশ ফিলিস্তিন মৈত্রী সংস্থার কিছু স্বেচ্ছাসেবী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারের সঙ্গে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করেছে।

গাজা থেকে কায়রোতে আশ্রয় নেওয়া ২৫টি শরণার্থী পরিবার, শিশু-কিশোর ও মিশরে অধ্যয়নরত অর্ধশত ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করে সময় কাটান।

পরে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের আর্থিক ঈদ সম্মানী, শরণার্থী পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা শিশুদের ঈদ সালামি দেওয়ার পর‌ তাদের পছন্দের ঈদের খাবার ও পানীয় দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।‌

বাংলাদেশ ফিলিস্তিন মৈত্রী সংস্থার সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজ তরফদার জাগো নিউজকে বলেন, ফেনীর ফুলগাজী থানার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের দরবার বারপুর গ্রামের হালিমা নূর পরিবারের সহায়তায়, অসহায় ফিলিস্তিনিদের নিয়ে আজকের এই ঈদ‌ আনন্দ। আমরা চেষ্টা করেছি এই অসহায় পরিবারগুলোর মাঝে আর্থিক সহায়তা করে তাদের কিছুটা হলেও ঈদ আনন্দ দিতে। আমরা অন্তত একদিনের জন্য হলেও তাদের মুখে হাসি ফোটাতে সক্ষম হয়েছি। এ সাফল্য শুধু আজহারের কয়েকজন তরুণ শিক্ষার্থীর নয়, এ সাফল্য গোটা বাংলাদেশের।

এক প্রশ্নের জবাবে ফিলিস্তিনি শরণার্থী হাইসাম নাজ্জার বলেন, আমি পরিবার‌ নিয়ে‌ গাজার খান ইউনূস এলাকা থেকে কায়রো এসেছি। কিন্তু সেখানে আমার আত্মীয়-স্বজন রয়ে গেছে, তার মধ্যে আমার মা-বাবা ও ছোটভাই ও রয়েছে। আপনিতো জানেন বর্তমান পরিস্থিতি বড় কঠিন, বেশ বড় অংকের অর্থ লাগবে তাদের বের করে আনতে, প্রায় ১০ হাজার ডলার, গাজায় আমাদের সবকিছু বিলীন হয়ে গেছে।

ঈদ উদযাপন অনুষ্ঠানে আসা আরেক শরণার্থী তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, বাংলাদেশ ফিলিস্তিন মৈত্রী সংস্থা আমাদের নিয়ে চমৎকার একটি ঈদ আনন্দের আয়োজন উপহার দিয়েছে। যারা আমাদের এই দূ্ংসময়ে ঈদ আনন্দ দিয়েছে এবং আমাদের আনন্দিত করেছে আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

এমআরএম/এএসএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]