নিউইয়র্কে করোনায় প্রাণ গেল বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতির
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ সোসাইটি’র সভাপতি কামাল আহমেদ (৬৬) করোনাভাইরাসে মারা গেছেন। ৫ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৪টায় নিউইয়র্কের এলমহার্স্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, ৫ ভাই ও ৫ বোনসহ অসংখ্য আত্মীয় ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ভাই-বোনদের মধ্যে কামাল আহমেদ সবার বড়। তার পুরো পরিবারই যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। কামাল আহমেদ নিউইয়র্কের কুইন্সে বসবাস করতেন। তার দেশের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ললিতা গ্রামে।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় গত ৩১ মার্চ দুপুর ১২টায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে নিউইয়র্কের এলমহার্স্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কামাল আহমেদ। ওই হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার শরীরে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া যায় বলে চিকিৎসকরা জানান।
তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন। দ্রুত তার অবস্থার অবনতি ঘটে। আজ রোববার ভোর সাড়ে ৪টায় লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান।
বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি ও জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি কামাল আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি স্থানীয় কমিউনিটির প্রিয়মুখ কামাল আহমেদের মৃত্যুতে নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বাঙালি কমিউনিটিতে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ সোসাইটি, বাংলা ক্লাব ইউএসএ, বিভিন্ন রাজনীতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠনসহ বাংলাদেশি কমিটির নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ১৩ হাজার, যা বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যায় চতুর্থ স্থানে থাকা জার্মানির চেয়েও অনেক বেশি এবং প্রায় ইতালির মোট সংখ্যার কাছকাছি।
এখন পর্যন্ত এ রোগে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আর এতে আক্রান্ত হয়েছে ১০ লাখ ৫০ হাজারের বেশি। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম পৃথিবীর অসংখ্য দেশের মানুষের মধ্যে মৃত্যুভয় জাগিয়ে তুলেছে কোভিড-১৯ রোগ।
জেপি/এমআরএম/এমকেএইচ