নিউইয়র্কে করোনায় একদিনে পাঁচ বাংলাদেশির মৃত্যু
নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় ১৩৯ বাংলাদেশির মৃত্যু হলো। মৃতরা হলেন - বশির আহমদ, হুমায়ুনুল আহমদ, তাহেরা আক্তার জাহান, বুলবুল আহমদ ও জামাল উদ্দিন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও প্রায় আড়াই হাজার মানুষ। এ নিয়ে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি।
নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর এন্ড্রু কুমো ১৫ এপ্রিল নির্দেশনা জারি করে বলেছেন, যেখানে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা মেনে চলা সম্ভব নয়, সেখানে অবশ্যই মুখ আবৃত্ত করে রাখতে হবে। জনসমক্ষে যাওয়ার জন্য মুখে মাস্ক পরতে হবে। ১৭ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া আইনে নিউইয়র্কের বাসে-ট্রেনে চলাচল করার জন্য অবশ্যই মুখ আবৃত্ত করে রাখতে হবে।
নিউইয়র্ক নগরীতে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের জরুরি অর্থ তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ মিলিয়ন ডলারের জরুরি খাদ্য তহবিলের বরাদ্দ রয়েছে।
মেয়র ডি ব্লাজিও বলেছেন, নগরীর যে কোনো প্রান্ত থেকে ৩১১ নম্বরে ফোন করলেই ঘরে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া হবে। ঘরে খাবার দেওয়ার জন্য নগরী কাউকে বৈধ, অবৈধ এসব প্রশ্ন করবে না। ফলে নিউইয়র্ক নগরীর যেকেউ এ খাদ্য সুবিধা নিতে পারবে।
আগে থেকেই নিউইয়র্কে ১২ লাখ মানুষকে নগরী থেকে খাদ্যসুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ সংখ্যা এখন করোনাভাইরাসের কারণে বেড়ে গেছে। মেয়র জানিয়েছেন, নগরীতে যে কোনো সময় ১৮ লাখ মানুষকে দেওয়া যাবে এ পরিমাণ খাবার প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। নিউইয়র্কে ১১ হাজার ট্যাক্সিচালক, উবার চালক এ খাবার পৌঁছে দিতে এগিয়ে এসেছেন।
মেয়র ডি ব্লাজিও জানিয়েছে, নগরীতে ২ লাখ ৪০ হাজার মাস্ক এখন সপ্তাহে উৎপন্ন করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এপ্রিলের মধ্যে এই উৎপাদন দ্বিগুণ করার চেষ্টা চলছে। সপ্তাহে নগরীতে ৩০ হাজার সার্জিক্যাল গাউন এখন সরবরাহ হচ্ছে। অচিরেই তা আড়াই লাখে পৌঁছাবে বলে মেয়র জানান।
যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন নিউইয়র্কে। এ অঙ্গরাজ্যে একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭৮৬ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িছে ১০ হাজার ৮৪২ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখেরও বেশি মানুষ। এরপর নিউজার্সিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ হাজার ৮৩৪ জন, মারা গেছেন ২ হাজার ৮০৫ জন।
এদিন আক্রান্তের সংখ্যায় মিশিগানকে টপকে তৃতীয়স্থানে উঠে এসেছে ম্যাসাচুসেটস। এ অঙ্গরাজ্যটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজারের বেশি, মারা গেছেন ৮৪৪ জন। মিশিগানে ২৫ হাজার আক্রান্ত ও ১ হাজার ৬০২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এমআরএম/জেআইএম