ব্রিটিশ মিডিয়ার খবর ‘সত্য নয়’ বলছেন কাতার প্রবাসী বাংলাদেশিরা

আনোয়ার হোসেন মামুন
আনোয়ার হোসেন মামুন আনোয়ার হোসেন মামুন , কাতার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১:৫৬ এএম, ১০ মে ২০২০

মহামারি করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল থামাতে যেখানে সারাবিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে কাতারে আক্রান্তের সংখ্যা জনসংখ্যার অনুপাতে বেশি হলেও মৃত্যুর সংখ্যা একেবারেই কম। দেশটি এখন পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেনি। কিন্তু ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘গার্ডিয়ান’র এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে কাতারে ‘প্রবাসী বাংলাদেশিরা রাস্তায় ভিক্ষা করছেন’।

গত ৭ মে গার্ডিয়ানের প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন সঠিক নয় বলে দাবি করছেন কাতারে থাকা বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা। মাথাপিছু আয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্র কাতারে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়ালেও মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র ১৩। দেশটিতে দিনের বেলায় কাজ-কর্ম চললেও কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এমতাবস্থায় প্রবাসীরা কর্মহীন হয়ে পড়লেও ‘বাংলাদেশিরা রাস্তায় ভিক্ষা করছেন’ বলে প্রকাশিত খবর একদমই ঠিক নয় বলে দাবি প্রবাসীদের।

কমিউনিটির নেতা দিদারুল আলম আরজু বলেন, ‘কাতারে এমন কোনো পরিস্থিতি হয়নি যে বাংলাদেশিদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করতে হবে। এক-দুইজন প্রবাসী গণমাধ্যমে মতামত দেয়ার কারণে সাড়ে চার লাখ বাংলাদেশির বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে’।

বাংলাদেশের কোনো গণমাধ্যম কাতার প্রবাসীদের নিয়ে খবর প্রকাশের আগে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের মতামত নেয়ার অনুরোধ জানান এ কমিউনিটি নেতা।

jagonews24

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবাসী বলেন, ব্রিটিশ ওই মিডিয়ার এমন দায়িত্বহীন সংবাদে আমরা হতভম্ব। দেশটিতে সরেজমিনে এসে কেউ বলতে পারবে না বাংলাদেশিরা ভিক্ষা করছে। তাদের মতো দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আমরা এমন ভুয়া তথ্য আশা করিনি।

এদিকে, শনিবার (৯ মে) কাতারে নতুন করে ১১৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে দেশটিতে মোট ২১ হাজার ৩৩১ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে আছেন তিন হাজার বাংলাদেশিও। আক্রান্তদের অন্তত দুই হাজার ৪৯৯ জন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন।

দেশটিতে নতুন করে আজও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে চার বাংলাদেশিও রয়েছেন।

এমআরএম/এমএসএইচ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]