নিউইয়র্কে কল দিলেই মিলছে এক মাসের খাবার

তোফাজ্জল লিটন
তোফাজ্জল লিটন তোফাজ্জল লিটন , যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:০২ পিএম, ১০ মে ২০২০

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বজুড়ে মানুষ বড় অসহায় হয়ে পড়েছে। ঘরবন্দি অনেক প্রবাসী খাদ্য সঙ্কটে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। রাস্তায় বের হয়ে সুস্থ অবস্থায় ঘরে ফেরার নিশ্চয়তা যেন একদমই হারিয়ে গেছে। এমতাবস্থায় নিউইয়র্কে বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশিদের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়েছে ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব জ্যামাইকা’।

নিউইয়র্কে ২০ মার্চ লকডাউন শুরুর দিন থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক মাসের নিত্যপ্রযোজনীয় খাবার দিয়ে সহায়তা করছে সংগঠনটি। সাহায্যের প্রযোজন হলে ১ ৭১৮ ৯৭১ ০০৫৪ নম্বরে কল দিলে তাদের এক মাসের খাবার পৌছে দেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বাহালুল সৈয়দ উজ্জ্বল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাহায্য পেয়েছেন এক বাংলাদেশি টিভি তারকা বলেন, ‘কুইন্স ভিলেজ থেকে কোথাও বের হতে ভয় পাই। আমারদের অর্থনৈতিক সামর্থ থাকলেও কিনতে যাওয়ার সাহস নাই। পোলাওয়ের চাল, গুড়ো দুধ, চা-পাতা এবং ঘিসহ প্রায় এক মাসের খাবার দিয়ে সহযোগিতা করছেন। আমি কী বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব জানি না। আমার অনেক সহকর্মীকে তাদের কথা বলেছি তারাও তাদের সহযোগিতা পেয়েছে বলে জানিয়েছে’।

jagonews24

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে আসা আফরোজা তাসনিম বলেন, ‘এখানে এসে এমন খারাপ অবস্থায় পড়ব কোনোদিন চিন্তাও করিনি। আত্মীয়-স্বজন থাকলেও কেউ এই সময় বাসায় এসে সহযোগিতা করতে পারছে না। তারা খাবার না দিলে খুব বিপদে পড়ে যেতাম’।

সৈয়দ উজ্জ্বল বলেন, আমার অফিসের নিচে একটি সুপার মার্কেট আছে। লকডাউন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের চোখে দেখেছি খাবার কিনতে মানুষের কষ্ট। আমি সামাজিক কার্যক্রমে জড়িত থাকায় মানুষজন আমাকে জানায় তাদের দুর্দশার কথা। বিশেষ করে বৃদ্ধরা, সিঙ্গেল মাদার, নতুন প্রবাসী, কাগজ-পত্রহীন মানুষ, সদ্য বেকাররা যখন ফোন করে বলেন তাদের ঘরে খাবার নাই। তখন নিজের ভালোমন্দের কথা আর চিন্তা করতে পারি না। নিজের গাড়িতে কাবার কিনে মানুষের বাড়িতে খাবার পৌছে দিই।

তিনি বলেন, এই কার্যক্রমে স্বশরীরে এবং অর্থৈনৈতিকভাবে হাত বাড়িয়েছেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল্লাহ ভূইয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক আহনাফ আলম এবং খাবার বাড়ির অন্যতম কর্ণধার কামরুজ্জামান কামরুল।

এমআরএম/এমকেএইচ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]