মসজিদে পড়ে থাকা সেই বাংলাদেশি এখন হাসপাতালে
‘কয়েকদিন আগে আমার এক ফেসবুক বন্ধু জানালো ভাই পাশেই মসজিদের সামনে একজন মানুষ অসহায়ের মতো পড়ে আছে, কী যেন হয়েছে। আপনি খোঁজ নিতে পারেন। আমি তাৎক্ষণিক চলে গেলাম সেই মসজিদের কাছে। দেখি কথা সত্য। মনে হচ্ছে কে বা কারা ফেলে গেছে। শুয়ে থাকতে থাকতে তার কোমরের নিচে ঘা হয়ে গেছে। কথা বলে জানতে পারলাম নাম হোসাইন, দেশের বাড়ি চাঁদপুর’।
কথাগুলো বলছিলেন প্রবাসী সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আব্দুল হালিম নিহন। তিনি বলেন, ‘এর আগেও বহু অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করেছি। এই তো কদিন আগেই আরেকজন বাংলাদেশিকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দিলাম। তার অবস্থা আরও ভয়াবহ ছিল। একজন বাংলাদেশি আরেকজন দেশিকে সাহায্য করবে এটাই স্বাভাবিক’।
এ সাংবাদিক বলেন, এরপর আশপাশে খোঁজ নিতে শুরু করলাম। জানা গেল সে ২ মাস ধরে অসুস্থতায় ভুগছেন তিনি। প্রথম প্রথম স্থানীয় একটি মেডিকেলের চিকিৎসা নিলেও উন্নতি হয়নি। কিছুদিন ধরে প্যারালাইসিস হয়ে যান তিনি । মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে আর চিকিৎসা নিতে পারেনি। তার বড় ভাইসহ কয়েকটি হাসপাতালে গেলেও কেউ তাকে রাখেনি। কারণ আবুল হোসাইনের শরীরের তাপমাত্রা খুব বেশি ছিল তখন।
এদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমাতে সৌদি আরবের যান চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। ‘এ কারণে সহজে কিছু পাওয়ায় যাচ্ছিল না। বহু কষ্টে একটা প্রাইভেট কার ব্যবস্থা করে তাকে রিয়াদের ছমছি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি’। এখন পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থা খুব একটা উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন এক চিকিৎসক।
এদিকে প্রবাসী এই সাংবাদিক অসহায় বাংলাদেশি আবুল হোসাইনের দেখভাল করছেন। বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। তিনি চাঁদপুরের সকল সংগঠনকে এই প্রবাসীর পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান।
এমআরএম/এমকেএইচ