করোনাজয়ী স্লোভেনিয়ায় ফের বাড়ছে সংক্রমণ
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জেনেজ জানসা ১৫ মে ঘোষণা দেন, করোনাভাইরাস সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা এখন সবচেয়ে ভালো আছি। তাই মহামারির সব ধরনের ঘোষণা প্রত্যাহার করছি।
করোনা মহামারি অবসানের ঘোষণা দিলেও গত কয়েক দিন থেকে দেশটিতে আবার আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও পাঁচজনের শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে।
এ নিয়ে স্লোভেনিয়ায় সর্বমোট করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৮৪ জন। এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুবরণ করেছে ১০৯ জন। এছাড়াও চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছে ১৩৫৯ জন।
স্লোভেনিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মারিবোরে এক প্রাইমারি স্কুল শিক্ষার্থীর শরীরে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফলে দেশটির অনেক সাধারণ মানুষের কপালে নতুন করে ভাঁজ সৃষ্টি করেছে। দ্বিতীয় ধাপে দেশটিতে আরও একবার করোনাভাইরাস আঘাত হানতে পারে বলে দেশটির অনেক বিশেষজ্ঞ ধারণা করছেন।
অস্ট্রিয়ার সাথে স্লোভেনিয়ার সীমান্ত সংযোগ সম্পূর্ণ খুলে দেওয়া হয়েছে এবং গত শুক্রবার সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেড থেকে এয়ার সার্বিয়ার একটি ফ্লাইট স্লোভেনিয়ার রাজধানী লুবলিয়ানাতে অবস্থিত দেশটির একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইয়োজে পুচনিক ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে এসে পৌঁছেছে।
এছাড়াও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে স্লোভেনিয়া সরকারের পক্ষ থেকে সকল ধরনের গণপরিবহন সেবা সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে এবং এখন চাইলে যে কেউই ভাড়া না দিয়ে সম্পূর্ণ ফ্রিতে দেশটির সকল ধরনের গণপরিবহন সেবা উপভোগ করতে পারবেন।
স্লোভেনিয়ার নাগরিক কিংবা দেশটির পার্মানেন্ট অথবা টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট হোল্ডারদের মধ্যে কেউ যদি এখন স্লোভেনিয়াতে প্রবেশ করতে চান তাহলে কোনও ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই তিনি দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন। এর আগে স্লোভেনিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশের নাগরিক নন এমন কেউ যদি স্লোভেনিয়াতে প্রবেশ করতে চান তাহলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে।
করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক সঙ্কট কাঁটিয়ে উঠার জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পক্ষ থেকে স্লোভেনিয়াকে ৫.১ বিলিয়ন অর্থ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা এসেছে।
স্থানীয় পত্রিকা the-slovenia.com সূত্রে জানা গেছে, এ ৫.১ বিলিয়নের মধ্যে ২.৫৭৯ বিলিয়ন ইউরো দেওয়া হবে আর্থিক অনুদান হিসেবে এবং ২.৪৯২ বিলিয়ন অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে ঋণ হিসেবে।
এমআরএম/এমকেএইচ