করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে সাইকেল বিক্রির হিড়িক
বাস বা সাবওয়ে থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের অনেকেই এখন বাহন হিসেবে সাইকেলের দিকে ঝুঁকছেন। নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন এলাকার ৫১ বছর বয়সী শিল্পী জন ডনোহু মনে করেন, এখন গণপরিবহন নিরাপদ নয়, তাই একটি সাইকেল কিনেছেন তিনি।
ইউএস সেনসাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সাল পর্যন্ত শতকরা ০.৬ ভাগ শ্রমিক সাইকেল চালিয়ে কাজে যেতেন। শহরাঞ্চলে এই হার ছিল আরও বেশি।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা স্ট্যাটিসটারের সাম্প্রতিক এক জরিপে প্রকাশ, যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা পাঁচ ভাগ মানুষ কর্মস্থলে যান নিজের সাইকেলে আর বাইক শেয়ারিংয়ের সাহায্য নেন মাত্র ১ ভাগ মানুষ।
তাছাড়া বিকল্প বাহন হিসেবে বড় শহরগুলোতে সাইকেলের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। মার্কিন সরকার সাইকেলকে অপরিহার্য বাহন মনে করছেন। এখন সবরকম ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা সত্ত্বেও অনেক সাইকেলের দোকানই খোলা।
ন্যাশনাল সাইকেল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিন-চতুর্থাংশ সাইকেল বিক্রি হয় বড় দোকানগুলোর মাধ্যমে। সাইকেলের বড় চেইন শপগুলো এখন বন্ধ থাকলেও ওয়ালমার্টের মতো ডিপার্টমেন্ট স্টোরে এখন সবচেয়ে বেশি সাইকেল বিক্রি হচ্ছে।
নিউইয়র্কের ব্রুকলিন এলাকার এক সাইকেল দোকানের মালিক জো নোসলা জানান, তার দোকানে আগে যেসব সাইকেলের মূল্য ছিল ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ডলার, এখন গড় মূল্য কমে ৫০০ থেকে ৮০০ ডলারে ঠেকেছে। কারণ, সাইকেল বিক্রি বেড়ে গেলেও অনেক খুচরা বিক্রেতা সমস্যার সম্মুখীন।
শুধু করোনা সংকটের জন্য নয়, দীর্ঘমেয়াদে সাইকেল চালানোর পরিকল্পনা করেই আমেরিকানদের কেউ কেউ এখন সাইকেল কিনছেন। যেমন- বাল্টিমোরে ঘরবন্দি থাকায় কেইটলিন লী নিরাপদে যাতায়াত করার জন্য ৫৫০ ডলারে একটি সাইকেল কিনেছেন।
তিনি বলেন, আমার মনে হয়, করোনাভাইরাস কখনোই পুরোপুরি বিলুপ্ত হবে না, তাই অন্যান্য ভাইরাসের মতো কোভিড-১৯ এর সাথেও আমাদের জীবনযাপন করা শিখতে হবে।
এমআরএম/জেআইএম