ফ্রান্সের জাতীয় দিবসে করোনার সমরযোদ্ধাদের বিশেষ সম্মান

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৩০ এএম, ১৫ জুলাই ২০২০

শাহ সুহেল আহমদ, ফ্রান্স (প্যারিস) থেকে

ফ্রান্সের জাতীয় দিবসে করোনাযুদ্ধের অগ্রসৈনিক চিকিৎসকদের সম্মানিত করল দেশটি। মঙ্গলবার সকালে বাস্তিল কনকর্ডে অনুষ্ঠিত জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে দেশটির প্রসিডেন্ট অ্যামানুয়েল মেক্রন, প্রধানমন্ত্রী জোঁ কাসতেক্সসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণলায়ের মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তাদের একযুগে বিশেষ সম্মান জানান।

মঙ্গলবার ছিল ফ্রান্সের ঐতিহাসিক বাস্তিল ডে তথা ফরাসি বিপ্লবের দিন। দিনটিকে প্রতিবছর নতুন রূপে নানা আনুষ্ঠানিকতায় সাজিয়ে তোলেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এবার করোনার কারণে অনুষ্ঠানাদিতে বড় পরিবর্তন আনা হয়। বাদ দেয়া হয় কুচকাওয়াজ, ফরাসী নৃত্যসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি ইভেন্ট। এছাড়া দিনটি ঘিরে অন্যান্য বছর বহির্বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্রনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও এবার ছিল তার ব্যতিক্রম।

সকাল থেকে থেকে ঐতিহাসিক বাস্তিল চত্বরে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে একে একে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী জোঁ কাসতেক্সসহ একাধিক মন্ত্রী ও আমলারা। পরে অনুষ্ঠানস্থলে এসে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট অ্যামানুয়েল মেক্রন। তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে করোনাযুদ্ধের সমরযোদ্ধা চিকিসক নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলে তাদের গার্ড অব অনারসহ প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীসহ অনুষ্ঠানের সবাই দাঁড়িয়ে করতালির মাধ্যমে তাদের স্বাগত জানানো হয়।

ফরাসি বিপ্লব, ইউরোপ এবং পশ্চিমা সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই বিপ্লবের সময় ফ্রান্সে নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে প্রজাতান্ত্রিক আদর্শের অগ্রযাত্রা শুরু হয় এবং একই সাথে দেশের রোমান ক্যাথলিক চার্চ সকল গোঁড়ামী ত্যাগ করে নিজেকে পুনর্গঠন করতে বাধ্য হয়।

ফরাসি বিপ্লবকে পশ্চিমা গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি জটিল সন্ধিক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় যার মাধ্যমে পশ্চিমা সভ্যতা নিরঙ্কুশ রাজনীতি এবং অভিজাততন্ত্র থেকে নাগরিকত্বের যুগে পদার্পণ করে। ঐতিহাসিকরা এই বিপ্লবকে মানব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসাবে বিবেচনা করেন।

এমআরএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]