করোনার প্রকোপ কমেছে স্লোভেনিয়ায়
স্লোভেনিয়ায় করোনার প্রকোপ কমতে শুরু করেছে। আজ আক্রান্ত হয়েছে ৬ জন। করোনার প্রভাবে ইউরোপের এ দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৯৪৬ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১১২ জনের। চিকিৎসা শেষে ঘরে ফিরেছেন ১৫৬৮ জন।
সার্বিয়া, বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, মেসিডোনিয়া এ সকল দেশ থেকে মানুষের অধিক যাতায়াতের ফলে স্লোভেনিয়াতে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। কেননা গোটা ইউরোপের মধ্যে রাশিয়ার পর পর সংক্রমণের ঝুঁকির বিবেচনায় সবচেয়ে নাজুক অবস্থানে রয়েছে বলকান এ দেশগুলো।
এছাড়াও স্লোভেনিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মারিবোরের এক ফ্যাক্টরিতে ১৫ জন শ্রমিকের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায় যাদের সকলে ছিলেন সার্বিয়া ও বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনার অধিবাসী।
স্লোভেনিয়া সরকার দেশটির অভ্যন্তরে ভ্রমণের বিষয়ে নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছে। প্রথমত সমগ্র পৃথিবীর সকল দেশকে তিনটি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা- রেড জোন, ইয়োলো জোন এবং গ্রিন জোন।
মূলত করোনা সংক্রমণের প্রতিচ্ছবি বিবেচনায় এনে এ ধরনের জোনিং করা হয়েছে। রেড জোনের আওতাভুক্ত করা হয়েছে সে সকল দেশকে যারা এ মুহূর্তে করোনা সংক্রমণের দিক থেকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।
রেড জোনভুক্ত অঞ্চলগুলো থেকে এখন কেউ স্লোভেনিয়াতে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে বাধ্যমতমূলকভাবে ১৪ দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকতে হবে এখানে প্রবেশের সাথে সাথে। ইয়োলো জোনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সে সকল দেশকে যে সকল দেশে করোনা পরিস্থিতি এখনও স্থিতিশীল তুলনামূলকভাবে।
স্লোভেনিয়ার পাসপোর্ট কিংবা পার্মানেন্ট রেসিডেন্স অথবা টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিটধারী কেউ এখন থেকে বিনা শর্তে স্লোভেনিয়াতে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে তাদেরকে অবশ্যই স্লোভেনিয়াতে প্রবেশের সময় এখানে তার বসবাস কিংবা পেশা অথবা যদি শিক্ষার্থী হন তাহলে তাকে তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রমাণ দিতে হবে।
এছাড়াও তাকে কোভিড-১৯ এর টেস্ট সার্টিফিকেট প্রদর্শন করতে হবে। না হলে বাধ্যতামূলকভাবে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যে ফ্রান্স, পর্তুগাল, চেক রিপাবলিক ও ক্রোয়েশিয়া ইয়োলো জোনভুক্ত।
আর গ্রিন জোনের আওতাধীন হচ্ছে সে সকল দেশ যে সকল দেশে এখন করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। গ্রিন জোনের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো থেকে কেউ স্লোভেনিয়াতে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে কোনও ধরনের শর্তের অধীনে আনা হবে না।
এমআরএম/এমকেএইচ