কাতার প্রবাসীদের সচেতনতায় রাতদিন ছুটছেন কাউন্সিলর মুস্তাফিজুর

আনোয়ার হোসেন মামুন
আনোয়ার হোসেন মামুন আনোয়ার হোসেন মামুন , কাতার প্রতিনিধি কাতার
প্রকাশিত: ০৪:৫৫ পিএম, ০৯ নভেম্বর ২০২০

বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। ইউরোপসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নতুন করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কাতারি নাগরিকসহ সকল অভিবাসীদের করোনা ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আদেশ অব্যাহত রয়েছে।

কাতার সরকারের সচেতনতার পাশাপাশি নিজের দেশের নাগরিকদের নিরাপদ রাখতে কাতারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে নিয়মিত বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা বিশেষ করে নাজমা, ফিরোজ আবদুল আজিজ, ন্যাশনাল জায়দা টাওয়ারে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

এছাড়া বিন ওমরান, আলখোর, ওয়াকরা, শিল্পাঞ্চল (সানাইয়া), মদিনা খলিফা এলাকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে করোনা সচেতনতা বাড়াতে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার, যত্রতত্র ভিড় না জমানো, সমাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, কাজের সময় ব্যতীত অযথা ঘরের বাহিরে বের না হওয়াসহ কাতার সরকারের কভিড-১৯ নিয়ম কানুন মেনে চলতে প্রবাসীদের অবগত করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে দূতাবাস।

qatar1.jpg

নিয়মিত কভিড-১৯ সচেতনতা প্রচারণার অংশ হিসেবে নাজমা হারাজ মার্কেটসহ আশপাশ এলাকায় রোববার সন্ধ্যা রাতে বিশেষ পরিদর্শনে আসেন কাতারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে করোনাকালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জীবন যাপন যেন নিরাপদ হয় এবং কভিড-১৯ থেকে যতটা সম্ভব বেঁচে থাকার জন্য বাংলাদেশিদের আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকতে প্রচারণার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

শ্রম কাউন্সিলর বলেন, দিনের সময় অধিকাংশ প্রবাসী তাদের কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাই সন্ধ্যায় তাদেরকে স্থানীয় রেস্টুরেন্ট ও তার আশপাশে জড়ো হতে দেখা যায়। সন্ধ্যা রাতের এই সময়টাতে তাদেরকে পাওয়া যায় বিধায় তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করি, যাতে তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে, মাস্ক ব্যবহার করে।

qatar1.jpg

তিনি বলেন, দূতাবাসে অফিস সময় শেষে আমি সন্ধ্যায় বাড়তি সময় প্রবাসীদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য কাজ করাকে দূতাবাসের নৈতিক দায়িত্বের একটি বাড়তি চেষ্টা বলে মনে করি।

কভিড-১৯ সচেতনতা প্রচারণায় কাউন্সিলর মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ছিলেন, দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শামীম চৌধুরী, সাঈদ লিটনসহ অনেকে।

কাতারে এ পর্যন্ত ১০ লাখের ও বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ। যদিও এরই মধ্যে ১ লাখ ৩১ হাজারের বেশি জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ৩৫ বাংলাদেশিসহ মারা গেছেন ২৩২ জন, এখন প্রায় ২৭শ মানুষ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এমআরএম/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]