চীনে প্রেসিডেন্ট শিয়ের বই নিয়ে পাঠক সভা
চীন প্রতিনিধি
চীনের বেইজিংয়ে টেলিগ্রাফ বিল্ডিং প্রেস কনফারেন্স হলে সম্প্রতি প্রকাশিত প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের মানবাধিকার বিষয়ক চিন্তাধারার বইয়ের ওপর পাঠক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভাটির আয়োজক ছিলেন, কেন্দ্রীয় তথ্য বিভাগের ভাইস মিনিস্টার চিয়াং চিয়ানগুও; সেন্ট্রাল পার্টি হিস্টরি অ্যান্ড ডকুমেন্টেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রেসিডেন্ট হুয়াং ইবিং; কেন্দ্রীয় তথ্য বিভাগের মানবাধিকার বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক থাং শিয়ানওয়েন।
বেইজিংয়ের ফুওয়াই হাসপাতালের বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং এশিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজির ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. মিসবাহুল ফেরদৌসকে পাঠক সভায় বইটি সম্পর্কে তার মতামত জানাতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো।
পাঠক সভায় ড. মিসবাহুল ফেরদৌস বলেন, গত কয়েক দিনে আমি এই বইটি খুব গুরুত্ব সহকারে পড়েছি এবং বইয়ে জনগণের আধিপত্যের ধারণা আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে। চীনে মানবাধিকারের উন্নয়ন জনগণকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রাখে।
প্রাদুর্ভাবের সময় থেকে, আমি চীনে কাজ করছি এবং বসবাস করছি। তাই আমি মহামারি চলাকালীন চীনা জনগণের জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য চীনা নেতাদের, বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থাগুলো ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছি। যে বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছিল তা হলো, প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং মানুষের জীবনকে সর্বোচ্চ পদে রেখেছেন।
আরেকটি বিষয় যা আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে তা হলো, করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে চীন মহামারি সংক্রান্ত তথ্য এবং চীনের চিকিৎসা সংস্থানগুলো বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে মহামারি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করার জন্য খুব সক্রিয় ছিলো।
এছাড়াও, মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য আমি আবারও চীন সরকার এবং চীনা জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ বাংলাদেশের মানুষ তখন মহামারিটি বুঝতে পারেনি এবং কীভাবে প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে তা জানত না। চীনের সহায়তায় বাংলাদেশ কার্যকরভাবে মহামারি নিয়ন্ত্রণে ভৃমিকা পালন করেছে।
সেন্ট্রাল ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্ট, সেন্ট্রাল পার্টি হিস্টরি অ্যান্ড লিটারেচার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও পণ্ডিত এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের পাঠক প্রতিনিধিরা একত্রে মতবিনিময় ও আলোচনায় অংশ নেন।
এমআরএম/জিকেএস