নিউইয়র্কে ‘লিটল বাংলাদেশ’

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৬ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২২

জয় বাংলা ধ্বনি আর ‘আমরা সবাই রাজা’ গানে নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলিনে বাঙালিদের এগিয়ে চলার অধ্যায়ে আরেকটি ইতিহাসের সংযোজন ঘটলো। সেটি হচ্ছে ‘লিটল বাংলাদেশ’।

স্থানীয় সময় রোবাবার দুপুরে ব্রুকলিনের ম্যাকডোনাল্ড এভিনিউয়ে ‘লিটল বাংলাদেশ’ নামফলক উন্মোচন করেন নিউইর্কের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুসলিম নারী কাউন্সিল ওম্যান শাহানা হানিফ। কয়েক শ বাংলাদেশি এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

jagonews24

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জ্যামাইকায় হিলসাইড এভিনিউয়ের বড় একটি অংশের নাম দেওয়া হয়েছে ‘লিটল বাংলাদেশ’। এবার নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলিনের ম্যাকডোনাল্ড এভিনিউয়ে যুক্ত হলো বাংলাদেশের নাম। বাঙালি অধ্যুষিত এই এলাকার রাস্তাটির নতুন নাম হয়েছে ‘লিটল বাংলাদেশ।’

ব্রুকলিনের কেনসিংটনকে বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রাণকেন্দ্র বলে মনে করা হয়। নিউইয়র্কে যত বাংলাদেশির বাস তার প্রায় ৩৫ শতাংশেরই বাস ওই এলাকায়।

শাহানা হানিফ বলেন, ৪০/৫০ বছর ধরে এই কমিউনিটির মানুষগুলো এই শহরে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই এই শহরের প্রতি তাদের ভালোবাসা, তাদের সম্মানের প্রতিদান এই নামকরণ।

লিটল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টাদের অন্যতম কাউন্সিলওম্যান শাহানার বাবা মোহাম্মদ হানিফ (যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এবং উত্তর আমেরিকাস্থ চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি) আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ১৯৯৫ সালের কথা। সে সময় আমরা কজন এই এলাকায় একটি অনুষ্ঠান থেকে ‘লিটল বাংলাদেশ’ রচনার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছিলাম।

jagonews24

তিনি বলেন, সেই স্বপ্নের পরিপূরক হিসেবে একই বছরে এ এলাকায় ‘লিটল বাংলাদেশ’ নামক একটি রেস্টুরেন্ট চালু করি। তার চলে গেছে ২৬টি বছর। আমার সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটলো আমারই কন্যা শাহানার হাত ধরে। আমি কত যে খুশি আর আনন্দিত-তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমি তার জন্য গর্ববোধ করছি।

ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী বলেন, প্রবাসীদের জন্য অত্যন্ত খুশির এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে নিজেও গৌরববোধ করছি। আমরা প্রথম জেনারেশনের সদস্য হিসেবে যতটা সম্ভব চেষ্টা করছি, তবে বলতে দ্বিধা নেই যে, আমাদের সন্তানেরা অনেক ভালো করছেন বহুজাতিক এ সমাজে বাংলাদেশ আর বাঙালি কালচার উজ্জীবিত রাখতে।

নামফলক উন্মোচনের সময় বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আবুল হাশেম, রেফায়েত চৌধুরী, কাজী নয়ন, ড. প্রদীপ কর, মাসুদুল হাসান, চন্দন দত্ত, রব মিয়া, জাহিদ মিন্টু, এ্যানি ফেরদৌস, খালেদা খানম, শাসসুদ্দিন আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক. কাজী আজম, ফিরোজ আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ হায়দার, মনির আহমেদ, আবু তাহের প্রমুখ।

এমআরএম/জিকেএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]