রমজানে গাজায় পৌঁছালো বাংলাদেশিদের ত্রাণ

আফছার হোসাইন
আফছার হোসাইন আফছার হোসাইন মিশর-থেকে
প্রকাশিত: ০৯:১৮ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২৪

পবিত্র রমজানে অসহায় গাজাবাসীদের জন্য খাবারসহ ব্যক্তিগত ব্যবহারিক সামগ্রী পাঠিয়েছে বিভিন্ন দেশ। এরমধ্যে বাংলাদেশেরও ত্রাণ রয়েছে। মিশরের রাফা সীমান্ত দিয়ে গাজা উপত্যকায় এসব সামগ্রী নিয়ে প্রবেশ করেছে ১০০টি ট্রাকের বিশাল বহর। যাতে দুই হাজার টন খাদ্য রয়েছে।

ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- চাল, পাস্তা, মটরশুঁটি, চিনি, তেল, চা, খেজুর, পনির, শিশুদের জন্য দুধ, জুস ছাড়াও শীত নিবারণের কম্বল, পরিচ্ছন্ন ও ব্যক্তিগত ব্যবহারিক সামগ্রী।

বিজ্ঞাপন

রমজানে গাজায় পৌঁছালো বাংলাদেশিদের ত্রাণ

মিসরের বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হোজাইফা খান বলেন, ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অন উম্মাহ ফাউন্ডেশন’ চ্যারিটি ফান্ডের মাধ্যমে রমজানের শুরুতেই ৩৫ লাখ টাকার ত্রাণ পাঠানো হয়। এই অর্থ আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ‘হিউম্যান ফার্স্ট, ‘আজহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি বাংলাদেশ’ ও ‘হোয়াট পিজন’ নামের ছাত্র সংগঠনের মাধ্যমে সংগ্রহ করে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এছাড়া বাংলাদেশের একটি বেভারেজ কোম্পানি ৪৮ লাখ টাকার ত্রাণ পাঠানোর জন্য উপায় বের করতে ওয়ার্ল্ড অন উম্মাহ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি ফান্ড জানায়, ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ত্রাণের যত চালান গেছে, তার মধ্যে রমজানের চালানটি বৃহত্তম। বাংলাদেশ ছাড়াও আরও যে আটটি দেশের ত্রাণ এই চালানে যুক্ত হয়েছে, সেই দেশগুলো হলো— ইন্দোনেশিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, কানাডা ও জার্মানি।

রমজানে গাজায় পৌঁছালো বাংলাদেশিদের ত্রাণ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত প্রতিরোধ হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী স্বাধীনতাকামী হামাসের যোদ্ধারা। এসময় ইসরায়েলি বাহিনী প্রতিরোধের চেষ্টা করলে সামরিক-বেসামরিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকসহ এক হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন। হামাসের যোদ্ধারা জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যান ২৪০ ইসরায়েলি এবং অন্যান্য দেশের নাগরিককে।

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনের ভূমিতে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর গত ৭৫ বছরের ইতিহাসে সেদিন প্রথম একদিনে এতজন মানুষের হত্যা দেখে ইসরায়েল। সেই হামলার জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে এ পর্যন্ত নিহত হন ৩১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭২ হাজার। নিহত ও আহতদের মধ্যে একটি বড় অংশই নারী, শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং বেসামরিক লোকজন।

জেডএইচ/জিকেএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - jagofeature@gmail.com