মালয়েশিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের সন্ধান: আট বাংলাদেশি আটক

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:২২ পিএম, ১৮ মে ২০২৪

মানবপাচারকারী সিন্ডিকেটের এক সদস্যসহ আটজনকে আটক করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ। বাংলাদেশি অনথিভুক্ত অভিবাসীদের ভিয়েতনাম থেকে থাইল্যান্ড এবং তারপর নৌকায় করে মালয়েশিয়ায় আনার জন্য ২১ হাজার রিংগিত আদায় করেছে চক্রটি।

শনিবার (১৮ মে) স্থানীয় পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর-জেনারেল রুসলিন জুসোহ বলেন, কুয়ালালামপুরে জালান সুলতান ইসমাইলের একটি বাসভবনে অভিযান চালিয়ে সিন্ডিকেটকে শনাক্ত করা হয়।

পরিচালক বলেন, পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন সদর দফতরের গোয়েন্দা বিভাগ স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭.০২ মিনিটে এক বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। তিনি পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।

রুসলিন বলেন, ৩৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন সিন্ডিকেটের সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার সাথে গাড়িতে থাকা অনথিভুক্ত দুই বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

গাড়ি থেকে আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি বাসভবনে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় বৈধ ভ্রমণ নথি বা পাস ছাড়া আরও পাঁচ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়।

রুসলিন বলেন, অভিযানকারী দলটি ১০টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, তিনটি মোবাইল ফোন, নগদ ৫০০ রিঙ্গিত এবং অভিবাসীদের পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পেরোডুয়া মাইভি জব্দ করা হয়েছে।

মালয়েশিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের সন্ধান: আট বাংলাদেশি আটক

তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের কাজ ছিল এখানে কর্মসংস্থান খুঁজছেন এমন নথিভুক্ত অভিবাসীদের আকাশপথে ভিয়েতনামে এবং তারপর স্থলপথে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া। তারপর থাইল্যান্ড থেকে নৌকায় করে তাদের কেলান্তানে আনা হয়। তারপর তাদের কুয়ালালামপুরে আনা হয়।

রুসলিন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে, সিন্ডিকেটটি দুই মাস ধরে কাজ করছে। অভিবাসী আইন ২০০৭-এর ধারা ২৬-এ এর অধীনে তদন্ত করা হচ্ছে। আটক ২১ থেকে ৩৮ বছর বয়সী অভিবাসীদের অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং অভিবাসন বিধিমালা ১৯৬৩ এর অধীনে তদন্তের স্বার্থে পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।

এমআরএম/জিকেএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]